টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়লো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দারাবাদ।গতরাতে আইপিএলের ৩৫তম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ১২৫ রান তুলেন হায়দারাবাদের দুই ওপেনার অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড ও ভারতীয় অভিষেক শর্মা। এতে ভেঙ্গে যায় সাত বছর আগের রেকর্ড। ২০১৭ সালের আগস্টে ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ডারহামের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে ১০৬ তুলেছিলেন নটিংহ্যামশায়ারের দুই ওপেনার রিকি ওয়েসেলস ও অ্যালেক্স হেলস।
দিল্লির বিপক্ষে ৫ ওভারে ১শ রান তুলে বিশ^ রেকর্ড গড়ে হায়দারাবাদ। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এত দ্রুত ১শ রান স্পর্শ করতে পারেনি কোন দল। আগের রেকর্ডটি ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ দশমিক ৩ ওভারে তিন অংকে পা দিয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। এমনকি কাল ৮ দশমিক ৪ ওভারে দেড়শ রান তুলে বিশ^ রেকর্ড গড়েছে হায়দারাবাদ।
রেকর্ডের ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে হায়দারাবাদের হয়ে বিধ্বংসী রুপে ছিলেন হেড। মাত্র ২৬ বলে ৮৪ রানের বিধ্বংসী খেলেছিলেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে ব্যক্তিগত সবচেয়ে বেশি রানে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড ভারতের সুরেশ রায়নার। ২০১৪ সালে মুম্বাইয়ের মাঠে কিংস পাঞ্জাব ইলেভেনের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে ২৬ বলে ৮৭ রান করেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলতে নামা সুরেশ রায়না।
দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে মোট ২৪বার (চার-ছক্কা মিলিয়ে) বলকে সীমানা ছাড়া করেছে হায়দারাবাদ। যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই ২৪বারের মধ্যে ১১টি ছক্কা ছিলো। ছক্কা হিসেবে এটিই যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালের মার্চে অ্যান্টিগায় শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ৬ ওভারে ১১টি ছক্কা মেরেছিলো ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। নিজেদের পুরো ইনিংসে ২২টি ছক্কা হাঁকিয়েছে হায়দারাবাদ। আইপিএলে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কায় নিজেদের রেকর্ডেই ভাগ বসিয়েছে হায়দারাবাদ।
দিল্লির বিপক্ষে রেকর্ড গড়া ম্যাচে ৭ উইকেটে ২৬৬ রান করে হায়দারাবাদ। এবারের আসরে এই নিয়ে তৃতীয়বার ইনিংসে আড়াইশর বেশি রান করলো তারা। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার আড়াইশর বেশি রান করার ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব সারেরর রেকর্ড স্পর্শ করলো হায়দারাবাদ।
হায়দরাবাদের ২৬৬ রানের জবাবে ১৯৯ রানে অলআউট হয় দিল্লি। পাওয়ার প্লেতে দিল্লি তুলেছিলো ৮৮ রান। এ ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে সর্বমোট ২১৩ রান তুলেছে দু’দল। এক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রানের বিশ^রেকর্ড গড়লো হায়দারাবাদ ও দিল্লি। এতে ভেঙ্গে গেল নটিংহ্যামশায়ার ও ইয়র্কশায়ারের রেকর্ড। ২০১৭ সালে ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে এক ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে ১৭৪ রান তুলেছিলো নটিংহ্যামশায়ার ও ইয়র্কশায়ার।
হায়দারাবাদের ৬৭ রানের জয়ের ম্যাচে দিল্লির হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। মাত্র ১৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। যা দিল্লির পক্ষে দ্রæততম এবং আইপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে চতুর্থ দ্রæত হাফ-সেঞ্চুরি।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :