যশপ্রীত বুমরাহকে এবার প্রশংসায় ভরালেন প্রাক্তন প্রোটিয়া তারকা ডেল স্টেইন। এবারের আইপিএলে অনেক ম্যাচেই বড় রান উঠছে, কয়েকটা ম্যাচ অবশ্য ব্যতিক্রম আছে। অন্যান্যবার ২২০-২৩০ রান সচরাচর দেখা যেত না। সেই তুলনায় এবারের আইপিএলে অনেক বেশি রান উঠছে, যা নিয়ে বোলাররা ব্যতিব্যস্ত। স্টার্ক, নরকিয়ার মতো তারকা বোলাররাও বেদম মার খাচ্ছেন ব্যাটারদের হাতে। শশাঙ্ক সিং, আশুতোষ শর্মা, অভিষেক শর্মা বা অংকৃষ রঘুবংশীর মতো তুলনায় অনভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও তুলোধনা করছেন বোলারদের।
কিন্তু এরই মধ্যে নিজেদের জাত চিনিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন বোলার, যার মধ্যে অন্যতম যশপ্রীত বুমরাহ। এবারের আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। নিয়েছে ১৩ উইকেট। রয়েছেন পার্পেল ক্যাপের দৌড়ে। এবার তাঁকেই কার্যত মানুষের মধ্যে ইশ্বরের সঙ্গে তুলনা করলেন স্টেইন।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্য়াচ দেখে নেটমাধ্যমে বিভিন্ন ক্রিকেটারই মজাদার মন্তব্য করেছেন। কোথাও বরুণ চক্রবর্তীর এক্স হ্যান্ডেলে দেখা গেছে চিয়ার লিডারদের জন্য সমবেদনা। কারণ তাঁরা এই ম্যাচে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টাই নেচে গেছে, বিরতির একটু সময় বাদ দিলে। এবার প্রশ্ন আসতেই পারে এত রান ওঠার ক্ষেত্রে কার কৃতিত্ব বেশি, পিচের না ব্যাটারদের? নাকি বোলারদের ব্যর্থতারই দায়? এরই মধ্যে প্রোটিয়াদের তারকা ডেল স্টেইন বলছেন, তার সৌভাগ্য যে তিনি এখন আর বোলিং করেন না। যদি এর মধ্যেও সেরাটা দেওয়া যায় তাহলে ভগবানের মতোই তাঁকে মানবেন ক্রিকেটভক্তরা, এমনই উক্তি শোনা যায় স্টেইনের তরফে। এত রানের ছড়াছড়ি আইপিএলে, তারই মধ্যে নিজের কাজটা ঠিক সামলে যাচ্ছেন বুমরাহ। তাই নেটিজেনদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি, কাকে নিয়ে স্টেইনের এই উক্তি।
ডেল স্টেইনে এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টের পরই এক নেটিজেন তার পাল্টা লেখেন, ‘বিষয়টি এত বড় করে না লিখে, ছোট করে লিখে দেওয়া হোক, যে যশপ্রীত বুমরাহর মতো হতে হবে’। ভক্তের এই পোস্টের মূহূর্তের মধ্যেই পাল্টা ডেল স্টেইন প্রতিক্রিয়া দিয়ে লেখেন, ‘একদমই তাই’। তাঁর এই বক্তব্যের আগেই অবশ্য ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তী ইয়ান বিশপ এক ধাপ এগিয়েই বুমরাহকে বলেছিলেন বোলিংয়ের প্রফেশর হিসেবে প্রতিভাবান উঠতি বোলারদের শিক্ষাগুরু হওয়ার জন্য।
এত প্রশংসার মধ্যেও অবশ্য সমালোচকদের মুখে বারবারই উঠে আসছে আইসিসির প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গ। যেখানে বুমরাহর আইপিএলের চেনা ইয়র্কার বা স্লোয়ার খুব বেশি কার্যকরি হয় না। বিশ্বকাপ ফাইনালেও তিনি নজর কাড়েননি সেভাবে। তাই প্রাক্তন ক্রিকেটারদের প্রশংসা এবং মন্তব্য সম্মান করেও অনেকেই বলছেন এই ধারাবাহিকতাই যেন তিনি আগামী টি২০ বিশ্বকাপে দেশের জার্সিতেও বজায় রাখেন এবং ভারতের এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আইসিসির ট্রফির খরা কাটান।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :