ইডেন গার্ডেন্সে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ২২৩ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে চাইলে ব্যাঙ্গালুরুর দরকার ছিল ভাল একটা শুরু। বিরাট কোহলি ঠিক সেই চেষ্টাই করলেন। প্রথম ৬ বল থেকে তুলে নিলেন ১৮ রান। এরপরই কোহলি আউট হয়েছেন বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে।
হারশিত রানার বলটা ছিল কোমরের কাছাকাছি। ফুল টস বলে কোহলি কেবল ব্যাটে-বলে করেছেন। ফিরতি ক্যাচ লুফেছেন বোলার নিজেই। আউটের সিদ্ধান্তের জন্য দ্বারস্থ হতে হয়েছিল আম্পায়ারের। যেখানে হক-আই প্রযুক্তির সাহায্যে থার্ড আম্পায়ার মাইকেল গফ আউটের সিদ্ধান্ত জানান।
কোহলি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। মাঠেই মেজাজ হারিয়ে তর্ক করেছেন আম্পায়ারের সঙ্গে। যুক্ত ছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসও। তবে গফ নিজেই ম্যাচ চলাকালে জানালেন, বিতর্ক উসকে দেওয়া এমন সিদ্ধান্তের কারণ।
হক-আই প্রযুক্তি দেখাচ্ছে, হারশিত রানার ওই ডেলিভারি পুরোপুরি বৈধ ছিল। ব্যাটার ক্রিজে থাকলে বলের উচ্চতা হতো ০.৯২ মিটার। বিরাট কোহলির কোমরের উচ্চতা ১.০৪ মিটার। যার অর্থ, বিরাট ক্রিজে থাকলে বল তার কোমরের নিচ দিয়েই যেত, যা আইসিসির নীতি অনুযায়ী বৈধ বল হিসেবেই গণ্য হবে।
তাই স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই আউটের সিদ্ধান্ত দেন মাইকেল গফ। উচ্চতা কেন্দ্রিক এসব নো-বলের বিতর্ক এড়াতে চলতি আইপিএলেই নতুন এক প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই প্রযুক্তিতে ব্যাটার পপিং ক্রিজে থাকা অবস্থায় বলের উচ্চতা পরিমাপ করা হয়।
এরপর তা ব্যাটারের উচ্চতার সঙ্গে তুলনা দেয় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই। যদি বলের উচ্চতা, ব্যাটারের কোমরের উচ্চতা থেকে বেশি হয়, তবেই নো-বলের সংকেত দেন আম্পায়ার। কোহলির বেলায় গণনা বলছে, ব্যাটারের কোমরের ০.১২ মিটার নিচ দিয়েই সেই বল পপিং ক্রিজ পার করতো।
আর এর ফলাফল হিসেবে মাইকেল গফ আউটের সিদ্ধান্ত দেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :