আইপিএল ২০২৪ থেকে ছিটকে গেলেন দিল্লি থেকে উঠে আসা পেসার মায়াঙ্ক যাদব। আইপিএলে দুরন্ত শুরু করেছিলেন। পরপর দুই ম্যাচে ১৫৫কিমি গতিবেগে বল করে সকলকই চমকে দিয়েছিলেন ২১ বছর বয়সী এই পেসার। কিন্তু তারপরই চোটে কাবু হয়ে পড়েন লখণৌ সুপার জায়ান্টসের এই পেসার। চোটের জন্য ছিটকে যান। এরপর বেশ কয়েক সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিলেন, কিন্তু মাঠে ফিরতেই ফের বিপত্তি।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে নিজের কোটার চার ওভারও শেষ করতে পারেননি এই জোরে বোলার। এবার লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের অস্ট্রেলিয়ান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়ে দিলেন এবারের আইপিএলে মায়াঙ্ককে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। গ্রুপ লিগে তো কোনও ভাবেই নয়, এমন কি প্লে অফেও তাকে পাওয়া যাবে না ধরে নিচ্ছেন ল্যাঙ্গার। কারণ সবেমাত্র উঠতি বয়স মায়াঙ্কের, ফলে তাঁকে জোর করে খেলিয়ে তাঁরও ক্ষতি করতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট।
ভারতীয় ক্রিকেটমহলের একাংশ ভেবেছিল টি২০ বিশ্বকাপের রিজার্ভ স্কোয়াডে তাঁকে রাখা হতে পারে। সেক্ষেত্রে নেটে বিরাট, রোহিতদের বিরুদ্ধে বোলিং করবেন মায়াঙ্ক। কিন্তু চোটই তাঁর কাল হল। বিশ্বকাপের মঞ্চ তো দুর, আইপিএল থেকেই ছিটকে গেলেন এই তারকা পেসার। পঞ্জাব কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচে পরপর তিন উইকেট করে নিয়েছিলেন। বিদেশি ব্যাটাররাও মায়াঙ্কের অসম্ভব গতির বোলিং দেখে কিছুটা হতবাকই হয়েছিলেন। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই বলেছিলেন, এত কম বয়সে এত জোরে বল করতে গেলে পেশী অনেক শক্তিশালী হতে হয়, সেটা মায়াঙ্কের আছে কিনা দেখতে হত। এরপর তাঁদের আশঙ্কাই সত্য়ি হয়, দুটি ম্যাচে পুরো ওভার বোলিংই করতে পারেননি মায়াঙ্ক। মুম্বই ম্যাচের পর যশপ্রীত বুমরার সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছিলেন কিভাবে চোট কাটিয়েও জোরে বোলিং করা যায়, তা জানার জন্য।
আইপিএলে কলকাতার বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগেই মায়াঙ্কের চোট নিয়ে আপডেট দিলেন এলএসজির কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। প্রাক্তন অজি তারকা বললেন, ‘ তলপেটে চোটের জন্য তাঁকে পাওয়া অনিশ্চিত। প্রার্থনা করব এবং আশা করব ও সুস্থ হয়ে উঠুক, তবে প্রতিযোগিতার শেষের দিকেও মায়াঙ্ককে পাওয়া কঠিন। চোটের জায়গায় স্ক্যান করে দেখা গেছে, তাঁর পক্ষে মাঠে নামা এই মূহূর্তে সম্ভব নয়। এটা দুর্ভাগ্যজনক। মাঠে ও থাকলে দলের কতটা কাজে লাগে, সেটা আমরা আগেই দেখেছি`।
ল্যাঙ্গার আরও বলছেন, `আগের দিন বুমরাহর সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হয়েছে ওর। ওকে বুঝিয়েছে বুমরাহ, যে ফাস্ট বোলারের জীবনে চোটের বিষয়টা খুব স্বাভাবিক, তাতে ভয়ের কিছুই নেই। আমার মতে ২৫-২৬ বছর বয়সি পর্যন্ত উঠতি পেসারদের এই চোটাঘাত লেগেই থাকে, তবে ওর জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু নেটে যখন বোলিং করেছিল কোনও ব্যথা ছিল না। রিহ্যাবও ভালোই হয়েছিল মায়াঙ্কের, তাও কেন এমন হল জানি না’।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :