দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বেনেটকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তানজিদ তামিম। ১৯ বলে ১৮ রান করেন তিনি। এতে ৬ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৪১ রান তোলে টাইগাররা।
আগের ম্যাচে টানা দুই দফা বৃষ্টিতে কারণে খেলা বন্ধ করা হয়। এই ম্যাচেও তার ব্যাতিক্রম নয়। ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে প্রথম বলে হানা দেয় বৃষ্টি। এতে ম্যাচ থেকে দ্রুত উঠে আসে ক্রিকেটাররা। তবে কয়েক মিনিট পড়ে আবারও খেলা শুরু হয়। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন আগের ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন কুমার দাস। তাকে সঙ্গ দেন তানজিদ তামিম দুজনের ব্যাটে ভর করে তিন ওভার ২৩ রান তোলে টাইগাররা।
দল যখন ব্যাটিং বিপর্যয়ে, তখন বেনেটকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অভিষিক্ত জনাথন ক্যামফেল। তবে ফিফটির কাছে থেকে ফিরতে হয় এই বাঁহাতি ব্যাটারকে। ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। প্রথম দুই ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও নিজের তৃতীয় ওভারে প্রথম শিকার করেন শেখ মাহেদী। ১৬ বলে ১৩ রান করে আউট হন ক্রেগ আরভিন।
দশম ওভারে রিশাদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক শান্ত। এরপর বলেই সিকান্ডার রাজাকে আউট করে শান্তর আস্থার প্রতিদান দেন এই তরুণ লেগ স্পিনার। রিশাদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লিটনের হাতে তালুবদ্ধ হন রাজা। এক বল পরেই স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন ক্লাইভ মানদান্দে। ২ বলে শূন্য রান করেন তিনি।অষ্টম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন সাইফউদ্দিন। ৩০ বলে ১৭ রান করা জয়লর্ড গাম্বিকে সাজঘরে ফেরান এই পেসার।
টাইগারদের আগুনে বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে সফরকারীরা। পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ২২ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে।
তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন তাসকিন আহমেদ। উইকেট না পেলেও ৩ রান খরচ করেন এই টাইগার পেসার। ওভারের শেষ তাদিওয়ানসি মারুমানিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। প্রথম ওভারে মাত্র দুই রান দিয়ে ভালো শুরু করে টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :