দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান। কখনো খেলার খবরে, আবার কখনো মাঠের বাইরের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে থাকেন তিনি। আজ মাঠের বাইরের এক কারণে আলোচনায় এসেছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার।
আজ সকালে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে ডিপিএলের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের মুখোমুখি হয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। মাঠে উপস্থিত ছিলেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শুরুর আগেই এদিন ঘটে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা।
ডিপিএলে শেখ জামালের জার্সিতে খেলছেন সাকিব। আজকের প্রাইম ব্যাংক-শেখ জামালের ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে এক ভক্তকে চড় মারতে যান এই তারকা ক্রিকেটার। জানা গেছে, ম্যাচ শুরুর আগে মাঠের পাশে প্রাইম ব্যাংক কোচ সালাহ উদ্দিন ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে কথা বলছিলেন সাকিব। এ সময় হঠাৎ সেলফি তুলতে যান সেই ভক্ত। সাকিব মানা করলেও তা শোনেননি সেই ভক্ত।
আর তখনই মেজাজ হারান সাকিব। বিরক্ত হয়ে তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাকিব। এ সময় তেড়ে গিয়ে সেই ভক্তের মোবাইল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন এবং মারতে যান। সেই ভক্তকে চড় মারতে গিয়েও থেমে যান তিনি।
এরই মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। অনেকেই মনে করছেন, মাঠের মধ্যে এভাবে সমর্থক ঢুকে কাউকে বিরক্ত করলে মেজাজ হারানোটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া নিরাপত্তাকর্মীদের দায়িত্ব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ডিপিএলে ফতুল্লার মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। জার্সি পড়ে ওই সমর্থক এলে নিরাপত্তাকর্মীরাও ধন্দে পড়ে যান এই ভেবে যে তিনি আসলে খেলোয়াড় নাকি ভক্ত।
চলতি ডিপিএলেই ফতুল্লার মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকবার। দর্শকরা জার্সি পরিহিত অবস্থায় এলে নিরাপত্তাকর্মীরাও চিন্তায় পড়ে যান তিনি আসলে খেলোয়াড় নাকি ভক্ত! মূলত সাকিব নিষেধ করা স্বত্ত্বেও সেই দর্শকের ছবি তুলতে চাওয়ায় রেগে গিয়েছিলেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সোমবার (৬ মে) প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হেয়েছে সাকিব আল হাসানের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। এদিন ব্যাট হাতে রান পাননি সাকিব।
কিন্তু ম্যাচ শেষে ভক্তরা সাকিবের কাছে অটোগ্রাফ এবং সেলফির আবদার করেছিলেন, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তাদের সেসব আবদার মেটান।
ফলে একই দিনে সাকিবের দুই রূপ দেখলো তার ভক্তরা। এর মধ্য দিয়েই হয়তো ভক্তদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন সাকিব। যে ভক্ত আপনি যত বড়ই হন না কেনো, চাইলে আপনিও একটা ভালো মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারেন। তাবে সেটা সীমার মধ্যে থেকে। না হলে শুধু সাকিব কেনো, শান্ত স্বভাবের মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরাও মেজাজ হারাতে বাধ্য হন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :