মিরপুরে চলছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে স্মরণ করা হলো চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা যাওয়া বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদকে। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দুই দলের ক্রিকেটাররা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামের একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনার পর পতেঙ্গা এলাকার কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হওয়ার ঠিক আগেই বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ প্যারাস্যুট দিয়ে নদীতে নামলেও দুজনেই আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক আসিম জাওয়াদ পতেঙ্গার নেভি হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মারা যান। তবে আহত উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল এখনো চিকিৎসাধীন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘গতকাল চট্টগ্রামে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হওয়া স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের সম্মানে মিরপুরে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করবে বিসিবি।’
আজ শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৩টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
নিহত আসিম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট আসিম মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা ও এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :