ব্যাট হাতে শুভসূচনার পর বল হাতেও দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশ। তবে জিম্বাবুয়ে ব্যাট হাতে লড়েছে শেষ পর্যন্ত। যদিও টাইগারদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। আর তাই টানা চার জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। টাইগাররা ৫ রানের জয় তুলে নেয়।
রান তাড়া করতে মাঠে নেমে খাতা খোলার আগেই তাসকিনের বলে আউট হন বেনেট। তিনে নামা সিকান্দার রাজাকেও বোল্ড করেন এই ডানহাতি টাইগার পেসার। রাজা ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরেন। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানশে মারুমানিকে আউট করেন সাকিব। তিনি করেন মাত্র ১৪ রান।
রিশাদের বলে মাদান্দে ১২ রানে আউট হলেও জিম্বাবুয়ে কোনো ভাবেই হাল ছাড়েনি। দলের হয়ে জনাথন ক্যাম্পবেল ও রায়ান বার্ল পাল্টা জবাব দিতে থাকেন। দুজনের ৩৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। তবে বার্ল ১৯ রানে আউট হলে আবার ধাক্কা খায় সফরকারীরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করে সাকিবের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন ক্যাম্পবেল।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। দলকে ব্যাট হাতে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। শুরু থেকে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন সৌম্য। তবে অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। দুজনের জুটিতে ১১তম ওভারে দলীয় শতক পূরণ করে বাংলাদেশ। তবে এরপরই শুরু হয় টাইগারদের ছন্দপতন।
লুক জঙ্গের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ৫২ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম। এরপরের গল্পটা জিম্বাবুয়ের বোলারদের। যেখানে আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন টাইগার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সৌম্য।
তিনে নামা হৃদয় ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন। দলের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার জঙ্গে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া বেনেট এবং গারাভা দুটি ও রাজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :