নিজের অনবদ্য পারফরম্যান্স দিয়ে হয়ে উঠেছেন দলের বোলিং আক্রমণের অন্যতম নেতা। নাম তার মুস্তাফিজুর রহমান। সবশেষ আইপিএলে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। ভালোবেসে সতীর্থ থেকে শুরু করে সমর্থকদের কাছে তিনি ‘ফিজ’ নামেই পরিচিত। এই নামটি কিভাবে এলো, সেটা জানিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী এই টাইগার পেসার।
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের লক্ষ্য ও ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে আসছে বিসিবি। আগে ধারণকৃত মুস্তাফিজের সাক্ষাৎকারটি সংস্থাটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আজ (রোববার) প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখানে শুরুতেই মুস্তাফিজুর বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলা তো গৌরবের বিষয়। আমি সবসময় এনজয় করি দেশের হয়ে খেলাটা। আরও ভালো লাগার বিষয় হলো টি-২০। কারণ এই ফরম্যাটটা বেশ প্রেশারের, এই কারণে ভালো লাগে আমার। প্রেশারটা অনেক এনজয় করি।’
এরপর তিনি বলেন, ‘দেশের পতাকা যেখানে থাকে, সেখানে যে কারোরই খেলতে পারা ভালো লাগবেই স্বাভাবিক। আমাদের যে পেস বোলাররা আছে যেমন তাসকিন, শরিফুল, সাইফউদ্দিন, হাসান, আমি যতটুকু শিখছি সেগুলো ওদের সাথে শেয়ার করব। তাতে যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়।’
এরপরই নিজের সংক্ষিপ্ত ফিজ নামটা কিভাবে এলো সেটা জানান মুস্তাফিজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের যে বোর্ডটা আছে ফিল্ডিং সেশন বা বোলিং সেশনে সবার নাম থাকে যেখানে, সেখানে আমার নাম পুরোটা লিখলে অনেক বড় হয়ে যায়। এজন্য দেখি ফিজ দিয়ে (লেখা)।’
এরপর এ পেসার বলেন, ‘প্রথমদিন আমি বুঝিনি যে এটা কে। পরে বলছে এটা তুমি। তারপর আমি আইপিএলে খেলতে গেছিলাম ২০১৬–তে, ওখানেও ফিজটা পপুলার হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে চলতেছে....।’
বাংলাদেশের হয়ে ট্রফি জয়ের আক্ষেপ রয়েছে বলেও জানান ফিজ, ‘যখন কেউ বড় ট্রফি বা টুর্নামেন্টে জিতে, তাকেই বড় প্লেয়ার বলা হয়। সেই আক্ষেপ তো সব সময়ই রয়ে গেছে। ভালো করার শেষ নেই, চেষ্টা করব পেছনে (অতীতে) যা করছি, তার চেয়েও যেন আরো ভালো করতে পারি। আমরা কোনো বিষয়ে আটকে গেলে সাকিব ভাই–রিয়াদ ভাইদের কাছ থেকে জেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ৯৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মোস্তাফিজ। যেখানে ৭ দশমিক ৫৭ ইকোনমিতে তার শিকার ১১০ উইকেট।
এদিকে আগামী ২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে ৮ জুন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শান্তর দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে।
১০ জুন দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরবর্তীতে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করবে টাইগাররা।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :