আইপিএল ২০২৪-এর প্রথম কোয়ালিফায়ারের ঠিক আগে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে জঙ্গি সন্দেহে চারজন গ্রেফতার হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে গুজরাট পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আইপিএল ম্যাচ ঘিরে দেখা দেয় দুশ্চিন্তা। যদিও নিরাপত্তার ঘেরাটোপে কেকেআর বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি নির্বিঘ্নে আয়োজিত হয়।
তবে আয়োজকরা যে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে একেবারেই দুশ্চিন্তায় নেই, এমনটা বলা যাবে না মোটেও। সেটা বোঝা যায় অন্য একটি ঘটনায়। নিরাপত্তজনীত সংশয়ের কারণেই এলিমিনেটর ম্যাচের আগে আরসিবি তাদের অনুশীলন বাতিল করে। বাতিল করা হয় সাংবাদিক সম্মেলনও।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৪-এর এলিমিনেটর ম্যাচের আগে মঙ্গলবার আরসিবির অনুশীলন করার কথা ছিল আহমেদাবাদের গুজরাট কলেজ গ্রাউন্ডে। তবে সরকারিভাবে কোনও কারণ না জানিয়েই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তাদের অনুশীলন বাতিল করে। যদিও তার আগে রাজস্থান রয়্যালস একই মাঠে তাদের অনুশীলন সারে।
কেকেআর বনাম সানরাইজার্স ম্যাচের জন্যই মোতেরায় আরসিবি ও রাজস্থানের প্র্যাক্টিসের বন্দোবস্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই অনুশীলনের জন্য বিকল্প কেন্দ্র বেছে নিতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ আইপিএল ম্যাচের আগে অস্বাভাবিকভাবে সাংবাদিক সম্মেলনও বাতিল করা হয়।
গুজরাট পুলিশের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে, নিরাপত্তাজনীত কারণেই আরসিবির প্র্যাক্টিস ও সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে। বিরাট কোহলির নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ের জন্যই নাকি এমন পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, গুজরাট পুলিশের তরফে আরসিবির পাশাপাশি রাজস্থান রয়্যালস শিবিরকেও জানানো হয়েছিল সংশয়ের কথা। তবে আরসিবি তাদের অনুশীলন বাতিল করলেও রাজস্থান পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী প্র্যাক্টিস সারে।
বিজয় সিংহ জোয়ালা নামে এক পুলিশ আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমদাবাদে পৌঁছনোর পরেই কোহলি গ্রেফতারি সম্পর্কে জানতে পারেন। কোহলি দেশের সম্পদ। ওঁর নিরাপত্তা আমাদের কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্ব পায়। আরসিবি কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। তারা আমাদের জানিয়ে দেয় যে, অনুশীলন করবে না। রাজস্থান রয়্যালসকেও ঘটনার কথা জানানো হয়েছিল। তবে ওদের অনুশীলন সারতে অসুবিধা ছিল না।’
স্বাভাবিকভাবেই আরসিবির টিম হোটেলের নিরাপত্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আরসিবির সদস্যদের জন্য আলাদা করিডর ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হোটেলের অন্য কোনও অতিথিকে আরসিবির হোটেল রুমগুলির ত্রিসীমানায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি আইপিএলের অনুমোদিত সাংবাদিকদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না টিম হোটেল চত্ত্বরে। এও শোনা যাচ্ছে যে, রজাস্থান রয়্যালস দলকে গ্রিন করিডর ব্যবহার করে প্র্যাক্টিস মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। টিম বাসের আগু-পিছু বাড়তি পুলিশ কনভয় ছিল। প্র্যাক্টিস মাঠের চারিদিকে কড়া পুলিশি প্রহরা ছিল।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :