আর কিছুদিন পরই শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ইতোমধ্যেই উক্ত আসরকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে টাইগাররা। বৈশ্বিক আসরে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কোন জার্সিতে খেলবে সেটি নিয়ে কৌতূহল ছিলো ক্রিকেটপ্রেমীদের। অবশেষে টাইগারদের বিশ্বকাপের জার্সি প্রকাশ্যে এনেছে বিসিবি।
তবে অধিকাংশ টাইগার সমর্থকই এবারের জার্সি নিয়ে হতাশ। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বলছে, এবারের জার্সিতে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশের এবারের জার্সিতে কাঁধ থেকে হাতা পর্যন্ত লাল রঙের ছাপ দেওয়া। কাঁধের একটু নিচে, বুকের দুই পাশে আছে সোনালি রঙের ছোঁয়া। যেটাকে ‘গোল্ডেন পাইপিং’ বলা হয়। বাকি জায়গা জুড়ে সবুজের সমারোহের মাঝে বাঘের ডোরাকাটা ছাপ।
বুকের মাঝে সাদা হরফে বড় করে লেখা বাংলাদেশ। দেশের নামের উপরের দুই পাশে নিয়ম মেনেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও টি-২০ বিশ্বকাপের লোগো। গোল কলারের এই জার্সি পরেই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি-২০ বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ।
প্রায় ৭টি জার্সি থেকে বিশ্বকাপের জন্য এই জার্সি বাছাই করে বিসিবি। জার্সি বাছাইয়ের কমিটিতে ছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন ও পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজ।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। জার্সি তৈরি থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের কাছে পৌঁছানোর বিষয়টি দেখভাল করেছেন ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস।
সোমবার (২৭ মে) দেশের এক গণমাধ্যমকে নাফিস শুনিয়েছেন বিশ্বকাপ জার্সি তৈরির পেছনের গল্প। জার্সি বাছাই নিয়ে নাফিস বলেন, ‘আমাদের কাছে ৬/৭টি ডিজাইন আসে। সেখান থেকে আমরা একটি পছন্দ করি। এটি বাছাইয়ের পেছনেও একটি কারণ (থিম) রয়েছে।’
কি থিম এবারের জার্সির? এ বিষয়ে নাফিস বলেন, ‘বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে বলা হয়ে থাকে। সেটি বিবেচনায় এনে গোল্ডেন পাইপিং (সোনালি রঙ) দিয়েছি। কাঁধ ও হাতায় লাল রঙ ব্যবহার হয়েছে অগ্নি স্ফূলিঙ্গ হিসেবে। আর পুরো বডি হচ্ছে পতাকার রঙের সবুজ। ভেতরে বাঘের ডোরাকাটা ছাপ।’
এবারের জার্সিতে ছোট গোল কলার ব্যবহার করা হয়েছে। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ছিল বড় কলার। টি-২০ বিশ্বকাপ বলে একটু ভিন্নতা আনতে ব্যবহার করা হয় ছোট কলার। যদিও জার্সি উন্মোচনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
আজ (২৮ মে) যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আইসিসি কর্তৃক নির্ধারিত ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১ জুন ভারতের বিপক্ষে হবে দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। এরপর ৮ জুন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে শান্তদের বিশ্বকাপ মিশন। বাকি তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :