ফুটবলারদের যাতে মনঃসংযোগ নষ্ট না হয়, তার জন্য কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেলজিয়ামের কোচ ডোমেনিকো টেডেস্কো। ফুটবলারদের স্ত্রী বা প্রেমিকারা তাদের সঙ্গে কখন দেখা করবেন তার সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এই সিদ্ধান্তের কারণে কোচের উপর ক্ষুব্ধ বেলজিয়ামের ফুটবলারদের স্ত্রী, প্রেমিকারা।
বেলজিয়ামের ফুটবলারেরা যে হোটেলে রয়েছেন, সেই হোটেলে রাখা হয়নি তাদের পরিবারকে। তারা অন্য হোটেলে রয়েছেন। টেডেস্কো ঠিক করে দিয়েছেন যে ম্যাচের পরে হোটেলে গিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য কেভিন দ্য ব্রুইন, রোমেলু লুকাকুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তাদের স্ত্রী বা প্রেমিকারা। সেই সময় পরিবারের বাকিরাও যেতে পারেন হোটেলে। তবে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেই হোটেল ছাড়তে হবে তাদের। বাকি সময়ে আর দেখা করতে পারবেন না তারা।
এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না ফুটবলারদের স্ত্রী বা প্রেমিকারা। বেলজিয়াম-ইউক্রেন ম্যাচের দিন ইয়ানিক কারাস্কোর স্ত্রী নোয়েমি হাপ্পার্ট সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “আজ বেলজিয়ামের খেলা আছে। সে জন্য আমি উত্তেজিত। তবে আরও আনন্দ হচ্ছে, কারণ, ম্যাচের পরে আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে পারব।”
দ্য ব্রুইনের স্ত্রী মিশেল ল্যাক্রইক্সও বিরক্ত। তার মতে, স্ত্রী বা প্রেমিকা সঙ্গে থাকলে ফুটবলারেরাই বেশি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে হয় না তাদের। নিজের খেলার দিকেই নজর দিতে পারেন তারা। তবে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সময় ফুটবলারদের স্ত্রী বা প্রেমিকারা মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেতেন। সেই সময় কিছুটা বেড়েছে। তাই দুঃখের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন মিশেল।
গ্রুপ ই-তে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বেলজিয়াম। সেখানে তাদের সামনে ফ্রান্স। ১ জুলাই হবে সেই খেলা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :