বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষ দলগুলোকে তো বহু দূরে, ছোট দল নেপালও পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে দলে নিবে না বলে মনে করেন দেশটির সাবেক দলনেতা শোয়েব মালিক। পাকিস্তানের এক টেলিভিশনে টক শো’তে মালিক বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে বাবরের অধীনে সবচেয়ে বাজে পারফরমেন্স করেছে পাকিস্তান। বাবরকে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ৪-৫টি দল তো দূরে থাক, পুঁচকে নেপালও তাকে দলে নিবে না।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের প্রথম আসরেই ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। ফাইনালে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরে যায় মালিকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। ২০০৯ সালে পরের আসরে দারুনভাবে ঘুড়ে দাঁড়ায় পাকিস্তান। ফাইনালে শ্রীলংকাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় পাকরা। এরপর আরও তিন আসরের সেমিফাইনাল এবং দুই আসরে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিলো তারা। কোন আসরেরই প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়নি পাকিস্তান। কিন্তু এবার সদ্য শেষ হওয়া বিশ^কাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয় পাকিস্তান।
স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করে পাকিস্তান। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের বিপক্ষে জয়ের সুর্বন সুযোগ হাতছাড়া করে ৬ রানে হেরে যায় বাবরের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে কানাডা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও সুপার এইটের টিকিট পায়নি উপমহাদেশের দলটি। টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিলো বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান।
বিশ^কাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য বাবরের নেতৃত্বে সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বিশেষজ্ঞরা। এবার সেই দলে যোগ দিলেন মালিকও। তিনি বলেণ, ব্যাটার ও অধিনায়ক হিসেবে যা পারফরমেন্স তাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৬টি ওয়ানডে ও ৮৮টি-টোয়েন্টি খেলা নেপালও বাবরকে দলে নিবে না।
মালিক বলেন, ‘আমাদের সেরা খেলোয়াড় কে? আমাদের সেরা খেলোয়াড় বাবর আজম। আমি শুধুমাত্র সেরা ৪-৫ দলের কথা বলছি। বাবর কি সেসব দলের একাদশে সুযোগ পাবার যোগ্যতা রাখে? অস্ট্রেলিয়া, ভারত বা ইংল্যান্ড দলে এই ফরম্যাটে কি জায়গা পাবে বাবর? উত্তর হচ্ছে-না। এমনকি নেপালও তাকে দলে নিবে না।’
সদ্য শেস হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্ব ক্রিকেটের চার ম্যাচ খেলে ১২২ রান করেন বাবর। তার ব্যাটিং গড় ছিলো- ৪০ দশমিক ৬৬ এবং স্ট্রাইক রেট ছিলো ১০১ দশমিক ৬৬।
ভারতের মাটিতে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ^কাপে ব্যর্থতার পর তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়েন বাবর। এরপর টেস্টের অধিনায়ক শান মাসুদ এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দায়িত্ব পান শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ৪-১ ব্যবধানে হারের পর, অধিনায়কত্ব হারান শাহিন। পুনরায় সাদা বলের দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক হন বাবর। টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের ব্যর্থতার পর বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :