ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে বড় কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলতে হলে ইংল্যান্ডকে আজ ডাচ বাঁধা পেরুতে হবে।
থ্রি লায়ন্সরা টানা দ্বিতীয়বারের মত ইউরোর ফাইনালে খেলার সুযোগ কোনভাবেই হাতছাড়া করতে চাইবে না। তার উপর ওয়েম্বলিতে তিন বছর আগে ইতালির কাছে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়ে পরাজয়ের হতাশা থেকেও তারা বেরিয়ে আসতে চাইবে।
এর আগে ১৯৬৬ বিশ্বকাপে একবারই ঘরের মাটিতে ফাইনালে খেলে শিরোপা জিতেছিল ইংলিশরা। কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের দলের সামনে এখন ৫৮ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর বড় সুযোগ।
সাউথগেটের অধীনে সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের দারুণভাবে প্রমাণ করার কারণেই জার্মানিতে আসার আগে তাদের গায়ে ফেবারিটের তকমা লেগে গিয়েছিল। শেষ চারে পৌঁছাতে অবশ্য ইংল্যান্ডকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
স্লোভাকিয়া ও সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নক আউট পর্বের আগের দুই ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে বিদায়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে তারা ফিরে এসেছিল ইংল্যান্ড। জুড বেলিংহাম ও বুকায়ো সাকার একক কৃতিত্বে দুইবার ইংল্যান্ড রক্ষা পায়।
কিন্তু দল হিসেবে এখনো সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি সাউথগেটের শিষ্যরা। স্লোভাকিয়ার সঙ্গে অতিরিক্ত সময় ও সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়।
অন্যদিকে কোচ রোনাল্ড কোম্যানের দল নেদারল্যান্ডস শেষ ষোলতে রোমানিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের সেরা পারফরমেন্স দেখিয়েছে। বার্লিনে অবশ্য তুরষ্কের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে পিছিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় পায়।
প্রিমিয়ার লিগের তারকাদের বিপক্ষে মাঠে নেমে নেদারল্যান্ডসকে কিছুটা হলেও নার্ভাস মনে হতে পারে। ডাচ যে খেলোয়াড়রা ইংলিশ শীর্ষ লিগে খেলে থাকে তারা স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের এগিয়ে নেবার লড়াইয়ে মেতে উঠবে।
এবারের আসরে যে কয়জন ফরোয়ার্ড নিজেদের প্রমাণ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম লিভারপুলের ডাচ তারকা কোডি গাকপো। এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিন গোল করা একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে গাকপো টুর্নামেন্টে টিকে রয়েছেন।
বড় টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ে ডাচরা ৩৬ বছরের খরা কাটাতে মুখিয়ে আছে। সর্বশেষ জয় করা ঐ ইউরো আসরটিও জার্মানিতেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ঐ একবারই নেদার্যান্ডস ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :