২০২৪ ইউরো কাপ দেখেছে নতুন নতুন তারকাকে। বিশ্বকাপ, ইউরো, কোপাই বিশ্বফুটবলে প্রতিষ্ঠা পাইয়ে দেয় ফুটবলারদের। ২০০৪-এর রোনাল্ডো হোক বা ২০২৪-এর লামিন ইয়ামাল, উঠতি প্রজন্মের ফুটবলারদের কাছে ইউরো বরাবরই অত্যন্ত প্রিয়। এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে যেমন নজর কেড়েছেন একাধিক তরুণ ফুটবলার।
ফাইনালে তাদের মধ্যে স্পেনের লামিন ইয়ামাল খেলবেন। এছাড়াও এবারের ইউরোয় নজরকাড়া ফুটবল খেলেছেন জার্মানির মুসিয়ালা, তুরস্কের আর্দা গুলাররা। আগামী কয়েক বছর বিশ্বফুটবল যে তরুণ তুর্কিরা শাসন করতে চলেছেন সেটা জাতীয় দলের জার্সিতে প্রমাণ করে দিয়েছেন তাঁরা। এতদিন রোনাল্ডো-মেসিদের নিয়ে ব্যালন ডি অরের লড়াই চললেও কয়েক বছরের মধ্যেই এমবাপে-হ্যারি কেনদের সঙ্গে লড়াই শুরু হয়ে যেতে চলেছে লামিন ইয়ামাল,জামাল মুসিয়ালাদের।
একঝলকে ইউরোর সেরা পাঁচ তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার, যারে বেশ নজর কেড়েছে-
লামিন ইয়ামাল- মাত্র ১৬ বছর বয়সেই এই ফুটবলার বিশ্বফুটবলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। স্পেনের জার্সিতে ফ্রান্সের বিপক্ষে অনবদ্য শটে গোল করেছিলেন। ইউরোর সব থেকে কম বয়সী গোল স্কোরার তিনি। সর্বকনিষ্ঠ ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারও তাঁর ঝুলিতেই। ৬ ম্যাচে ৪১৮ মিনিট খেলে তাঁর পাস অ্যাকুরেসি ৮০ শতাংশ, এখনও পর্যন্ত ১৮বার গোলের চেষ্টা করেছেন।
জামাল মুসিয়ালা- জার্মানির এই ফুটবলার প্রতিযোগিতায় কম ম্যাচ খেললেও ভালোই নজর কেড়েছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের বিরুদ্ধে হারের আগে পর্যন্ত নিজেকে উজার করে দিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখে খেলা এই মিডিও। এবারের ইউরোয় ৫ ম্যাচে ৪২৩ মিনিট খেলে করেছেন ৩টি গোল। ৯১ শতাংশ নির্ভুল পাস করেছেন।
আর্দা গুলার- তুরস্কের এই ১৯ বছর বয়সী ফুটবলার বেশ নজর কেড়েছেন ইউরোয়। মজা করে তাঁকে তুরস্কের মেসি বলেও ডাকা হয়। জর্জিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত শটে গোল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ৫ ম্যাচে ৩৪২ মিনিট খেলে তিনি করেছেন ১টি গোল, পাশ অ্যাকুরেসি ৮৮.২ শতাংশ।
কোবি মাইনু- ইংল্যান্ডের এই ফুটবলার এবারের ইউরোর অন্যতম সেরা আবিষ্কার। ফাইনাল ম্যাচে লামিন ইয়ামালের সঙ্গে বেশ লড়াই জমবে তাঁর। ইংল্যান্ডের হয়ে কোনও মেজর প্রতিযোগিতায় সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে সেমিফাইনালে খেলেছেন তিনি। পাঁচ ম্যাচে ৩০০ মিনিট মাঠে থেকেছেন, মাঝমাঠে ৯৪ শতাংশ নির্ভুল পাসিং করে নজর কেড়েছেন ১৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
বার্ত ভারব্রুগেন- নেদারল্যান্ডসের ২১ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক এবারের ইউরোয় বেশ নজর কাড়েন। ইংল্যান্ড ম্যাচে একাধিক সেভ দিয়েছিলেন। এবারের ইউরোয় ৬টি ম্যাচে ৫৪০ মিনিট মাঠে থেকে মোট ১৮টি সেভ দেন ডাচদের এই নবীন গোলরক্ষক। ব্রাইটনের এই গোলরক্ষক নজর কেড়েছে ইউরোপের ফুটবলপ্রেমীদের।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :