ফিফা বিশ্বকাপ কিংবা ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে খেলার নতুন রেকর্ড গড়েছেন স্প্যানিশ তরুণ ফরোয়ার্ড লামিন ইয়ামাল। এর মাধ্যমে ১৯৫৮ সালে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী পেলের রেকর্ড তিনি ভঙ্গ করেছেন। ১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সে ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন পেলে। সুইডেনের বিরুদ্ধে ৫-২ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে তিনি দুই গোলও করেছিলেন।
শনিবার ইয়ামাল ১৭ বছরে পা দিয়েছেন। বার্সেলোনার এই উইঙ্গারের এ্যাসিস্টে স্পেন প্রথম গোল করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এগিয়ে যায়। টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন ইয়ামাল।
পুরস্কার হাতে নিয়ে ইয়ামাল বলেছেন, ‘এটা একেবারেই স্বপ্নের মত। স্পেনে ফিরে গিয়ে আনন্দ উদযাপনের জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। এটা আমার জন্মদিনের সেরা উপহার। এখন পরিবারের সাথে এই শিরোপার আনন্দ উপভোগ করতে চাই। সমতায় ফেরার পর ইংল্যান্ড বেশ আগ্রাসী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু আমি জানিনা এই স্পেন দলটি কি দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। পুরো টুর্নামেন্টেই আমরা যোগ্যতার প্রমান দিয়েছি।’
এক গোল ও চার এ্যাসিস্ট দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন ইয়ামাল। ১৯৮০ সালের পর এক আসরে এত এ্যাসিস্ট আগে কেউ করতে পারেনি। এক আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল কিংবা এ্যাসিস্টের রেকর্ডও গড়েছেন ইয়ামাল।
এনিয়ে এ সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মত ইয়ামাল পেলেকে ছাড়িয়ে গেলেন। বড় কোন আসরের সেমিফাইনালে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে রেকর্ড গড়েছেন ইয়ামাল। পেলে ফাউন্ডেশন ইয়ামালকে এজন্য অভিনন্দও জানিয়েছে।
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে সর্বকনিষ্ট খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোতে খেলার ও সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গোল করে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে গোলের রেকর্ডও গড়েছেন স্প্যানিশ এই উইঙ্গার।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :