ভারতীয় ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু হয়েছে জয় দিয়ে। সেই সঙ্গেই কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীর এবং টি২০ অধিনায়ক হিসেবে সূর্যকুমার যাদবের মেয়াদও শুরু হয়ে সুখকর জয় দিয়ে। এই জুটি যে আগামী দিনে অনেক বড় দলকে বেগ দেবে তা প্রথম ম্যাচেই অনুমান করা গেছে।
সূর্যকে অধিনায়ক নির্বাচিত করে যে কোনও ভুল করেননি গৌতি বা আগরকর, সেটা প্রথম ম্যাচেই প্রমাণ করে দিয়েছেন সূর্য। স্রেফ রিয়ান পরাগকে দিয়ে নয়, নিজেও ব্যাট হাতে ছিলেন অনবদ্য। রোহিতের মতোই বোলারদের ওপর ভরসা রেখেছিলেন,তাতেই এক ওভারে জোড়া উইকেট তুলে অধিনায়কের ভরসার দাম দেন ভারতের স্পিনার অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। বিরাট, রোহিতের অনুপস্থিতি টের পেতে দিলেন না ক্রিকেটাররা।
দুরন্ত ছন্দে থাকা পাথুম নিশাঙ্কাকে ৭৯ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে সবথেকে বড় ধাক্কা দিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল, এরপর আউট করেন কুশল পেরেরাকে। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব, রিয়ান পরাগকে সঙ্গী করে গল্পে মাতলেন অক্ষর। বললেন, ‘জানি না কেন এমন পরিস্থিতিতে আমিই আগে চলে আসি। দলের দরকারের সময় এরকম সময় বোলিং করলে আর উইকেট পেতে তো ভালো লাগবেই, অবশ্যই স্পেশাল মোমেন্ট। এই বিষয়গুলো আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করে আর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ’
১.২ ওভার বোলিং করে ৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেওয়ার পর অসমের ছেলে রিয়ান পরাগ বলছেন, ‘ আমি বোলিং ভালোবাসি। ক্যামেরার পিছনে আমি অনেক সময়ই বোলিং করি। নেটে অনেক কথাবার্তা লছিল যে কোথায় বোলিং করতে হবে, কীভাবে বোলিং করতে হবে। এই নিয়ে গম্ভীর স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে ১৬ বা ১৭ ওভারে যদি বোলিং করতে হয়, তাহলে কোথায় বোলিং করতে হবে। আমার কাজ বোলাররাই সহজ করে দিয়েছিল, আর বল ঘুরছিল, সেটা সুবিধা হয়েছে ’।
ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলছেন, ` এটা রিয়ান পরাগ স্পেশালই বলা যায়। আমি ওকে আগে বোলিং করতে দেখেছি নেটে। আমি সাংবাদিক সম্মেলনেও বলেছিলাম ওর মধ্যে একটা এক্স ফ্যক্টর আছে। ব্যাটাররা যদি এভাবে বোলিং করে সাহায্য করে দেয় তাহলে তো খুব ভালো, আমার কাজ সহজ হয়ে যাবে। ব্যাটার হিসেবে দলের জন্য যা করার ছিল সেটাই করেছি। চেষ্টা করেছি ভিত গড়ে দিতে, তবে আমি জানি দলে এত দক্ষ ক্রিকেটাররা রয়েছে আমি কখনও ব্য়র্থ হলেও ওরা ঠিক সামলে দেবে। আমি অধিনায়ক হতে চাই না, আমি নেতা হতে চাই ওদের `।
মুম্বাইয়ের মজাদার স্টাইলেই সূর্য বলেন, ‘ দাওয়া সে জাদা দুয়া (অর্থাৎ ওষুধের থেকেও বেশি আশীর্বাদ) পেতে থাকলে কাজটা ভালোই চলতে থাকবে। এখানেও এত সমর্থন পেয়ে ভালো লাগছে। ভারতের থেকে অনেকটা কাছে এই দেশ। আড়াই ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাই তাই মনে হয়ে নিজের দেশেই খেলছি। এভাবেই সমর্থন পেতে থাকলে আমিও আমার কাজ ভালোভাবেই করতে থাকব’।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :