দীর্ঘদিনের পুরনো দুই প্রতিদ্বন্দ্বির ম্যাচকে ঘিড়ে পুরো প্যারিস অলিম্পিকের চোখ ছিল কাল রোলা গাঁরোর দিকে। সাবেক দুই নাম্বার ওয়ান নোভাক জকোভিচ ও রাফায়েল নাদালের মধ্যে সম্ভবত শেষ প্রতিযোগিতা দেখতে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকের সমাগমই আশা করেছিল অলিম্পিক আয়োজক কমিটি, হয়েছেও তাই।
ক্যারিয়ারের ৬০তম মোকাবেলায় রাফায়েল নাদাল নিজের প্রিয় মাঠে শেষটা রাঙ্গাতে পারেনি। ইনজুরির কারণে দুই বছর কোর্টের বাইরে থাকার পর নিজেকে আবারো পুরনো ফর্মে ফিরিয়ে আনার আশাও অবশ্য তিনি করেননি। অনুমিত ভাবেই হেরে গেছেন নাদাল। সার্বিয়ার তারকা জকোভিচের কাছে ৬-১, ৬-৪ গেমে পরাজিত হয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় সেটে কিছুটা হলেও নাদাল লড়াইয়ে ফিরে এসেছিলেন। নাহলে হয়তো জকোর কাছে ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে পরাজয়টা বরণ করতে হতো।
ম্যাচটি যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা জকোভিচের কথায় বোঝা গেছে, ‘আমি সত্যিই দারুন স্বস্তিবোধ করছি। সবকিছুই আজ আমার পক্ষে ছিল। নাদালের মত খেলোয়াড়ের বিপক্ষে এই কোর্টে ৬-১, ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা মোটেই সহজ নয়। তবে আমার সার্ভিস আরো ভাল করা উচিৎ ছিল। আমি তাকে খেলার সুযোগ দিয়েছি। এই ধরনের ম্যাচের টেনশনটা থাকে অন্যরকম। পুরো কোর্টের পরিবেশও দুর্দান্ত ছিল। একে অপরের সাথে ২০ বছর ধরে খেলছি, বিষয়টি সত্যিই অভাবনীয়।’
নাদালের বিপক্ষে এটি ছিল রেকর্ড ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী জকোভিচের ৩১তম জয়। ২০০৬ সালে এই রোলা গাঁরো কোর্ট থেকেই দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছিল।
ব্লকবাস্টার এই ম্যাচের আগেই নাদাল স্বীকার করেছিলেন এই ম্যাচটিতে জকোভিচই সুস্পষ্ট ফেবারিট। প্রায় দুই দশক রোলা গাঁরোতে আধিপত্য দেখিয়ে ১৪টি ফ্রেঞ্চ ওপেন শিরোপা জয়ী নাদালের বিপক্ষে কোর্টে নামার আগে জকোভিচও কিছুটা নার্ভাস ছিলেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ইনজুরির কারনে নাদাল র্যাঙ্কিংয়ের ১৬১তম স্থানে নেমে গেছেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্যারিসে সিঙ্গেলসে তার খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল।
জকোভিচেরও বছরটা ভাল কাটেনি। কিন্তু ৩৭ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান সুপারস্টার অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের আশায় প্যারিসে এসেছেন। কোর্টে নেমেছেনও শীর্ষ র্যাঙ্কিং খেলোয়াড় হিসেবেই।ভবিষ্যত নিয়ে নাদাল স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন অলিম্পিক শেষে এ ব্যপারে তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন।
২০০৮ সালে অলিম্পিকে অভিষিক্ত হয়েই ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছিলেন জকোভিচ। কোয়ার্টার ফাইনালে পথে পরের রাউন্ডে তার প্রতিপক্ষ জার্মানীর ডোমিনিক কুপার।
নাদাল এখন সতীর্থ কার্লোস আলকারাজের সাথে ডাবলসে মনোনিবেশ করবেন। ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন এই জুটি।ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডন জয়ী আলকারাজ গতকাল দ্বিতীয় রাউন্ডে নেদারল্যান্ডসের ট্যালন গ্রিকস্পুরের বিপক্ষে ৬-১, ৭-৬ (৭/৩) গেমের জয় দিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছেন। পরের রাউন্ডে তার প্রতিপক্ষ রোমান সাফিউলিন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :