দীর্ঘদিন হয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলে দুরবস্থা চলছে। একদিনের ক্রিকেট হোক বা টি২০, একসময়ের সেরা দলে এখন অনেক ক্রিকেটারই নিয়মিত খেলতে চাননা। বরং তাদের প্রাধান্যের তালিকায় থাকে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। এই যেমন কদিন আগেই টি২০ বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ানদের জার্সিতে গায়ে নেমেছিলেন রাসেল, পুরানরা।
অথচ তারপরই ইংল্যান্ডে যখন দল টেস্ট খেলতে যায়, তাঁরা কেউই দলে ছিলেন না। এক্ষেত্রে দলে তাঁদের রাখা হয়না তেমনটা নয়, কেউ টেস্ট ক্রিকেট খেলতেই চাননা দেশের হয়ে। অনেকেই এর পিছনে উইন্ডিজ বোর্ডের আর্থিক সংকটকে কারণ হিসেবে দেখলেও দলের তারকা ক্রিকেটার আন্দ্রে রাসেল কিন্তু বলছেন অন্য কারণের কথা।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেডের দলে সুযোগ পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। সেই তালিকায় রয়েছেন সিমরন হেতমায়ের, নিকোলাস পুরান, রভম্যান পাওয়েল, কেইরন পোলার্ডরা। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ দামই পেয়েছেন রাসেল। দেশের হয়ে তিনি শেষবার টেস্টে খেলেছেন ২০১০ সালে। আর পুরান, পাওয়েল, পোলার্ডরা তো একটি টেস্টও খেলেননি দেশের জার্সিতে, এর পিছনে কি শুধুই আর্থিক কারণ? বিষয়টি স্পষ্ট করলেন রাসেল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তারকা ক্রিকেটার বলছেন, ‘শুধু টাকার অভাবের জন্য ক্রিকেটাররা দেশের জার্সিতে টেস্টে খেলছে না বিষয়টা তেমনটা নয়, আমার মনে হয় না অর্থই একমাত্র কারণ। গোটা বিশ্বে এখন এত বেশি টি২০ বা সিমিত ওভারের ফ্র্য়াঞ্চাইজি লিগ চলছে, যে টেস্ট খেলতে অনেকেই তেমন আগ্রহ পাননা। দেশের বাইরে থেকে বড় প্রস্তাব পেলে সকলেই সেটা গ্রহণ করে। তবে সকলেই বৃহত্তর পর্যায় খেলতে ভালোবাসে। আমি নিশ্চিত দল যদি বৃহত্তর পর্যায় পৌঁছায়, তাহলে প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা নিজেদের সেরাটা দেবে। তাই এখানে টাকাটা টেস্ট না খেলার কারণ নয়। যেমন টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য আমার শরীর সমর্থ নয় ’।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ১০ দিনেই তিনটি টেস্টে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিনটি টেস্ট মানে তা চলার কথা ১৫ দিন, কিন্তু ১০ দিনের মধ্যেই তা গুটিয়ে গেছে। সেই নিয়ে ক্যারিবিয়ান তারকা বলছেন, ইংল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে সিরিজ জেতা যথেষ্টই কষ্টসাধ্য কাজ। তবে ক্যারিবিয়ানদের কাছেও সুযোগ ছিল, যেটা তাঁরা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :