AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গঠনতন্ত্রের ধারায় অনুপস্থিতির জন্য সভাপতি পদ হারাবেন পাপন?


Ekushey Sangbad
স্পোর্টস ডেস্ক
০৫:৩০ পিএম, ১৩ আগস্ট, ২০২৪
গঠনতন্ত্রের ধারায় অনুপস্থিতির জন্য সভাপতি পদ হারাবেন পাপন?

নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বিসিবি পরিচালনার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন বডি গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বোর্ডের স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন রয়েছেন তিনি। 

হস্তক্ষেপের অভিযোগে আইসিসি যাতে কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারে, সেই বিষয়ে সচেতন রয়েছে সরকার। তবে সভাপতিসহ অন্যান্য পরিচালকদের অনুপস্থিতিতে বিসিবি আগামী দিনগুলোতে কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

২০২১ সালের ৬ অক্টোবর সবশেষ বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তৃতীয় মেয়াদে সেবার সভাপতির দায়িত্বে আসেন পাপন। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনিই এই পদে থাকবেন। তবে লম্বা সময় ধরে অনুপস্থিত থাকলে পদ হারানোর শঙ্কাও রয়েছে।

সভাপতির পাশাপাশি নাজমুল হাসান পাপন একইসঙ্গে একজন পরিচালক। বোর্ডের গঠনতন্ত্রের ১৪তম অনুচ্ছেদের ১ (খ) ধারা অনুযায়ী প্রতি দুই মাসে একটি করে পরিচালক সভা অনুষ্ঠিত হতে হবে।

গঠনতন্ত্রের ১৩তম অনুচ্ছেদের ৩ ধারা অনুযায়ী মৃত্যু, পদত্যাগ, মানসিক ভারসাম্যহীনতা অথবা শৃঙ্খলাজনিত শাস্তি প্রদানের প্রেক্ষিতে পরিচালকের পদ শূন্য হবে। মানসিক ভারসাম্যহীনতার ক্ষেত্রে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত থাকতে হবে। পাপনের ক্ষেত্রে এ ধারাটি অবশ্য প্রযোজ্য নয়।

বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১৫তম অনুচ্ছেদের ২ ধারা অনুযায়ী শারীরিক অসুস্থতা, বিদেশ গমন বা যথাযথ কারণ ছাড়া পরিচালনা পরিষদের সভায় পরপর ৩ বার অনুপস্থিত থাকলে পরিচালকের সদস্যপদ বাতিল হবে। তবে এক্ষেত্রে প্রচলিত সকল আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে; অথবা বোর্ডের পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর একের অধিক অন্য যেকোনো জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদ বা পরিচালনা পরিষদের সদস্য বা অন্য কোনো পদে প্রতিষ্ঠিত হলে পরিচালকের সদস্যপদ বাতিল হবে।

পাপনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তাই গঠনতন্ত্রের ১৫তম অনুচ্ছেদের ২ ধারা প্রয়োগ হওয়া নিয়েও সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। কারণ পরিচালনা পরিষদের সভা সভাপতিই আহ্বান করেন। গঠনতন্ত্রের ১৫তম অনুচ্ছেদের ৩ (ক) ধারা মোতাবেক সভায় কোরামের জন্য পরিচালকদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। পরিচালকদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের কম অনুপস্থিত থাকলে সভা অনুষ্ঠিত হবে না। রাজনৈতিক পটভূমি বদলে যাওয়ায় অনেক পরিচালক আত্মগোপনে থাকায় সভার আয়োজন নিয়েই থাকছে অনিশ্চয়তা।

সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা  আফিফ মাহমুদ সম্প্রতি বলেছেন, বিসিবি সভাপতি অনুপস্থিত। অবশ্যই একটি ফেডারেশন কাজ করার জন্য তার সকল অঙ্গকে কাজ করতে হবে। সভাপতি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি অনুপস্থিত আছেন। বিসিবি একটি স্বায়ত্তশাসিত ফেডারেশন এবং আমরা তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারি না।

‘আমরা বিসিবি পরিচালকদের আইসিসির আইনি কাঠামোর মধ্যে কীভাবে সমস্যাটি সমাধান করা যায়, তা দেখার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে কিনা, সেটি তারা পরে আমাদের কাছে রিপোর্ট করবে। আমরা এই বিষয়ে প্রক্রিয়া চালিয়ে যাব।’

‘আমরা প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে চাই। কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আমরা ব্যক্তি পরিবর্তন করতে চাই না; বরং আমরা পদ্ধতিগত পরিবর্তন করতে চাই। যাতে সেই ব্যবস্থা অনুসরণ করে যে কেউ আসে, দুর্নীতি করে না আসতে পারে। আমরা পদক্ষেপ নিতে চাই, যাতে আমরা একটি স্থায়ী সমাধান করতে পারি।’
 

একুশে সংবাদ/ এস কে

 

Link copied!