AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনে জিম্বাবুয়ে আগ্রহী


Ekushey Sangbad
স্পোর্টস ডেস্ক
০১:১৪ পিএম, ১৭ আগস্ট, ২০২৪
টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনে জিম্বাবুয়ে আগ্রহী

সরকারের পালাবদল ও তার পরবর্তী পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। নিরাপত্তাজনিত কারণে আইসিসি প্রথমে ভারতকে প্রস্তাব দিলেও তা গ্রহণ করেনি বিসিসিআই। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিয়ে ভাবনার মাঝেই টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনে  আগ্রহ প্রকাশ করেছে জিম্বাবুয়ে।  

আগামী মঙ্গলবার বসছে আইসিসির বোর্ড সভা। সেদিনই বিশ্বকাপ কোথায় আয়োজিত হবে, এ ব্যাপারে আসতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এক প্রতিবেদনে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

আগামী ৩ অক্টোবর আসন্ন নারী টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের পর্দা উঠবে। ঐ সময় ভারতে বর্ষা মৌসুম থাকার জন্য দেশটি আয়োজক হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ঠিক একই কারণে বিবেচনার বাইরে চলে যায় শ্রীলংকা।  

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই ভেন্যু দুবাই ও আবুধাবিকে বিকল্প হিসেবে চিন্তায় রেখেছে আইসিসি। সেখানকার ভেন্যু ও যাবতীয় সুবিধা প্রস্তুত থাকায় বিশ্বকাপ আয়োজন কোন সমস্যা হবে না। তবুও অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজনে জিম্বাবুয়ে আশাবাদী। কারণ সংযুক্ত আরব আমিরাতের তুলনায় আফ্রিকার দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের খরচ তুলনামূলকভাবে কম পড়বে। এটি তাদের জন্য বাড়তি সুবিধা হবে বলেই তারা আশা করছে।  

জিম্বাবুয়েতে খেলা হলে সাধারণত স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার দিয়ে গ্যালারি পূর্ণ থাকতে দেখা যায়। যেখানে ১০ হাজার দর্শকের ধারণ ক্ষমতা থাকে। আপাতত জিম্বাবুয়ে হারারে স্পোর্টস ক্লাব এবং বুলাওয়েতে কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবকে টি-২০ নারী বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণের জন্য প্রস্তাব পেশ হতে পারে। সম্প্রতি হারারে স্পোর্টস ক্লাবে যুক্ত করা হয়েছে ফ্ল্যাডলাইট।

স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণ ক্ষমতায় জিম্বাবুয়ের চেয়ে  ঢের এগিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তাদের বিশ্বমানের স্টেডিয়ামে ২০ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে ম্যাচ উপভোগ করতে পারে। যদিও গ্যালারি পরিপূর্ণ হবে, সেই নিশ্চয়তা খুব একটা নেই।

অক্টোবরে জিম্বাবুয়েতে শুরু হবে গ্রীষ্মকাল। এ সময় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশ কম থাকে, যা বিশ্বকাপ আয়োজনের ক্ষেত্রে অনুকূল আবহাওয়া হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

২০১৮ ও ২০২৩ সালে জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আয়োজন করেছিল। এর আগে ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে পুরুষদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে দেশটি যৌথ আয়োজক হয়েছিল।

সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের শাসনামলে (২০০৫-২০১১) জিম্বাবুয়ে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেছিল। এ সময়কালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে দেশটি স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যায়। টানা দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে দলটি ব্যর্থ হয়। আসন্ন টি-২০ নারী বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে অংশ না নিলেও নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে আয়োজক হতে আগ্রহী।

জিম্বাবুয়ে ২০২৬ সালে নামিবিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে পুরুষদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার সঙ্গে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হবে। ততদিনে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে কাজ করে আরো দুটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ড বানাতে সক্ষম হবে।


একুশে সংবাদ/ এস কে

Link copied!