বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম সেরা সিরিজদের মধ্য়ে রয়েছে অ্যাশেজ সিরিজ। এরপর অবশ্য বর্তমানে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফিও বেশ জনপ্রিয়, কারণটা অবশ্যই টেস্টে ইংল্যান্ডের তুলনায় ভারতীয় দল বেশি শক্তিশালী এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে বেশি লড়াই দেয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই অ্যাশেজে নিজেদের ভালো জায়গায় রেখে আসছে প্যাট কামিন্সের দল, অবশ্য হবে নাই বা কেন। এই মূহূর্তে বিশ্বক্রিকেটে টেস্ট ফরম্যাটে তো তারাই সেরা দল, গতবছর আইসিসি টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ তো জিতেছিল অজিরাই।
এবার আগামী প্রায় ৭ বছরের অ্যাশেজের ভেনু ঠিক করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজের ম্যাচে আয়োজনে যেমন ভেনুর আলাদা জৌলুশ বাড়ে, তেমন আর্থিক দিক থেকেও উন্নতি হয়, কারণ প্রচুর সংখ্যায় ক্রিকেটভক্ত খেলা দেখতে আসেন। তাই অ্যাশেজের ম্যাচে আয়োজনের দায়িত্ব অনেকদিন আগে থাকতেই ভেনুগুলোকে দিয়ে দিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ১৮৭৭ সালে প্রথম টেস্ট ম্যাচে আয়োজন করা হয়েছিল। ২০২৭ সালে টেস্ট ক্রিকেটের ১৫০তম বর্ষপূর্তিতে সেই মেলবোর্নেই ঐতিহাসিক ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড বক্সিং ডে টেস্টের আলাদা একটা গুরুত্ব আছে। সেই বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচ আগামী ২০৩০-৩১ মৌসুম পর্যন্ত মেলবোর্নেই অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট।
নিউ ইয়ার টেস্ট অর্থাৎ নতুন বছরের প্রথম টেস্ট ঐতিহ্য মেনেই সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দেওয়া হয়েছে, এক্ষেত্রেও ২০৩০-৩১ মৌসুম পর্যন্ত এই ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে এসসিজি।
অ্যাডিলেড ওভালে আগামী সাত বছরের জন্য ক্রিস্টমাস ডে টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে, সেটা দিন এবং রাতের হতে পারে, উল্লেখ্য ২০২৬ অ্যাশেজে একটি দিনরাতের টেস্ট হওয়ার কথা।
এই প্রথম অ্যাশেজের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে গাব্বার পরিবর্তে পার্থ্-এ। আগামী তিন বছর অস্ট্রেলিয়া পুরুষদের মরশুমের প্রথম টেস্ট খেলা হবে পার্থ-এ। ফলে আগামী অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচের ভেনু এটাই।ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ম্যাচ ব্রিসবেনে হওয়ার কথা রয়েছে। এর পাশাপাশি আগামী বছর একটি টেস্ট ম্যাচ পাবে ব্রিসবেন, সেটাও দিনরাতের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরই ২০৩২ অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে ব্রিসবেনে।
আগামী সাত বছরের জন্য বিগ ব্যাশ লিগের নিউ ইয়ারের আগের রাতের ম্যাচ আয়োজিত হবে অ্যাডিলেড ওভালে। এছাড়াও তাজমানিয়াতে স্টেডিয়ামের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। মূলত অস্ট্রেলিয়ার সব বড় শহরের ক্রিকেটপ্রেমিরা যাতে খেলা উপভোগ করতে পারে অ্যাশেজের, সেই জন্য স্বচ্ছতা রেখেই এই ভেনু নির্ধারণের কাজ আগেভাগে সেড়ে ফেলল তাঁদের ক্রিকেট বোর্ড।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :