লিস্টার সিটির সাথে ১-১ গোলের ড্র দিয়ে প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম শুরু করেছে টটেনহ্যাম। অভিজ্ঞ জেমি ভার্দির দ্বিতীয়ার্ধের গোলে লিস্টার পিছিয়ে পড়েও সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ম্যাচ শেষে কোচ আনগে পোস্তেকোগ্লু স্বীকার করেছেন সঠিক সময়ে স্পার্স তাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি।
কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে পেড্রো পেরোর ২৯ মিনিটের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল টটেনহ্যাম। কিন্তু পরবর্তীতে বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করে তারা ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। এই সুযোগে নতুন উন্নীত লিস্টার এক পয়েন্ট নিশ্চিত করে। প্রাক-মৌসুম ইনজুরির কারনে কোচ স্টিভ কুপার আগেরদিনও ভার্দিকে দলে রাখতে চাননি। কিন্তু সেই ভার্দিই শেষ পর্যন্ত দলকে হার এড়াতে সহযোগিতা করেছেন। ৩৭ বছর বয়সী ভার্দি টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে এনিয়ে ১৭ লিগ ম্যাচে ৯ গোল করলো।
পোস্তেকেগ্লুর অধীনে প্রথম মৌসুমে টটেনহ্যাম টেবিলের পঞ্চম স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছিল। কোচের অল-আউট এ্যাটাক কৌশলে টটেনহ্যাম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ে। আরো একবার টটেনহ্যাম বাজে ফিনিশিংয়ের কারনে জয়বঞ্চিত হলো। বোর্নমাউথ থেকে ৬৫ মিলিয়ণ পাউন্ডে দলে আসা স্ট্রাইকার ডোমিনিক সোলাঙ্কের অভিষেকটা ভাল হলোনা।
পোস্তেকোগ্লু বলেছেন, ‘সত্যিই হতাশাজনক। প্রথমার্ধ দুর্দান্ত খেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন ধরে রেখেছিলাম। কিন্তু গোলের দেখা পাইনি। লিস্টার গোল করার পর সমর্থকরা উজ্জীবিত হয়ে উঠলে আমরা ছন্দ হারিয়ে ফেলি। এই সমস্যায় আমরা গত মৌসুমেও পড়েছি। আমাদের আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিশেষ করে আক্রমনভাগে নিজেদের আরো গতি বাড়াতে হবে। বাজে সিদ্ধান্তের কারনে আমাদের জয় হাতছাড়া হয়ে গেল। ম্যাচের নিয়ন্ত্রন থাকলেও গোল করতে না পারলে সব অর্থহীন হয়ে যায়। মানসিকতায় আরো শক্তিশালী পরিবর্তন আনতে হবে। সব মিলিয়ে এই পারফরমেন্সে আমি মোটেই সন্তুস্ট হতে পারছি না।’
এক বছর অনুপস্থিত থাকার পর চ্যাম্পিয়নশীপে জয়ী হয়ে আবারো প্রিমিয়ার লিগে ফিরে এসেছে লিস্টার। বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্টের সূত্র মতে জানা গেছে আর্থিক আইন ভঙ্গের দায়ে লিস্টারের পয়েন্ট কাটা হতে পরে। যে কারনে নতুন বস কুপারের সামনে এখন যেকোন মতে রেলিগেশন এড়ানোই মূল চ্যালেঞ্জ।
ম্যাচের শুরুতে রডরিগো বেনটানকারের শট লাইনের উপর থেকে ক্লিয়ার করেন উইলফ্রিড এনডিডি। ফিরতি বলে ব্রেনান জনসনকে হতাশ করেন লিস্টার গোলরক্ষক ম্যাডস হারমানসেন। সোলাঙ্কের ডাইভিং হেড সরাসরি হারমেনসের হাতে ধরা পড়ে। পোরোর ক্রস থেকে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। সোলাঙ্কের আরো একটি হেড হারমানসেন রুখে দেন। টটেনহ্যামের এই চাপ শেষ পর্যন্ত সফল হয় ২৯ মিনিটে। জেমস ম্যাডিসনের নিখুঁত ক্রসে ১২ গজ দুর থেকে পোরোর হেড জালে জড়ালে এগিয়ে যায় স্পার্স। পরের মিনিটেই ম্যাডিসনের আরো একটি এ্যাসিস্ট থেকে জনসনের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সোলাঙ্কের শট হারমানসেনের হাতে ধরা পড়ে। বেনটানকারের আরো একটি শট দারুন দক্ষতায় রুখে দেন লিস্টার গোলরক্ষক। ৫৭ মিনিটে টার্গেটে প্রথম শট থেকেই সফল হয় লিস্টার। আব্দুল ফাতাউর ক্রস থেকে অনেকটা ফাঁকায় দাঁড়ানো ভার্দির হেডে সমতায় ফিরে লিস্টার।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :