২০৩০ সালের বিশ্বকাপের ম্যাচ স্পেনে হোক, চান না ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকারের আপত্তি স্পেনের পরিবেশ নিয়ে। রিয়াল মাদ্রিদে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে ভিনিসিয়াস বলেছেন, স্পেনের মানুষের মধ্যে বর্ণবিদ্বেষী মানসিকতা রয়েছে। তাঁর মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
স্পেনে একাধিক বার বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের শিকার হয়েছেন ভিনিসিয়াস। বিশেষ করে লা লিগার ম্যাচগুলিতে প্রতিপক্ষ দলের সদস্য, সমর্থকদের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছে রিয়াল স্ট্রাইকারকে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে ভিনিসিয়াস বলেছেন, ‘‘২০৩০ সালের মধ্যে প্রচুর উন্নতির সুযোগ রয়েছে। আশা করব, স্পেনের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হবে। আশা করি তারা বুঝতে পারবেন, নিজেদের গায়ের রঙের জন্য অন্যদের অপমান করাটা গুরুতর অন্যায়।’’ ২৪ বছরের ফুটবলার আরও বলেছেন, ‘‘২০৩০ সালের মধ্যে এই ব্যাপারটার উন্নতি না হলে বিশ্বকাপের ম্যাচের জায়গা পরিবর্তন করা উচিত। বিভিন্ন দেশের ফুটবলারেরা স্পেনে স্বচ্ছন্দে খেলতে পারবে না। এখানে তাদেরও বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হবে। তাতে জটিলতা তৈরি হতে পারে।’’
উল্লেখ্য, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবিদার ছ’টি দেশ। স্পেন, পর্তুগাল, মরক্কো, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে আছে লড়াইয়ে। কারা আয়োজন করবে, তা অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
রিয়ালে ভিনিসিয়াসের সতীর্থ দানি কার্ভাজালের মত অবশ্য ভিন্ন। তিনি ভিনিসিয়াসের বিরোধিতা করে বলেছেন, ‘‘স্পেন কখনই বর্ণবিদ্বেষী দেশ নয়। বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন থেকে স্পেনকে বঞ্চিত করা ঠিক হবে না। ভিনিসিয়াসের সঙ্গে কী হয়েছে জানি। তবে পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। লা লিগায় নতুন নিয়ম তৈরি হচ্ছে। যারা এই ধরনের আচরণ করেন, তাঁদের খেলার মাঠে ঢোকা বন্ধ করা হবে।’’ স্পেনের জাতীয় দলের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তেও ভিনিসিয়াসের মন্তব্য মানতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘সর্বত্রই কিছু অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে। তার মানে স্পেন বর্ণবিদ্বেষী নয়। সব ধরনের মানুষের সহাবস্থান রয়েছে এ দেশে।’’ মাদ্রিদের মেয়রও ব্রাজিলীয় ফুটবলারের মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন।
লা লিগার দর্শকদের বিরুদ্ধে একাধিক বার বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য বা আচরণের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন ফুটবলারকে এই ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। স্বভাবতই বিতর্ক তৈরি হলেও ভিনিসিয়াসের মন্তব্যকে একদম উড়িয়ে দিতে পারেননি কেউই।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :