দীর্ঘ তিন মাস পর গায়ে তুললেন ইন্টার মায়ামির জার্সি। ইনজুরি থেকে ফিরে আর্মব্যান্ড হাতে নিয়ে দুর্দান্ত ঝলক দেখিয়েছেন মায়ামির আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। এ যেন এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। এমন মেসিকেই দীর্ঘদিন মিস করছে বিশ্ব ফুটবল। ইনজুরি কাটিয়ে চিরচেনা মেসিকে দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। এতে কপাল পুড়েছে ফিলাডেলফিয়ার।
এদিকে ৩৭ বছর বয়সেও একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছেন মেসি। বিশ্বজয়ী এই আর্জেন্টাইন রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) মায়ামির জার্সি গায়ে তুলেই অনন্য রেকর্ড গড়েছেন। ১ জুনের পর মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলতে নেমে ফ্লোরিডার ক্লাবটির হয়ে তিনি এ রেকর্ডটি গড়েন।
ফিলাডেলফিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিতে জোড়া গোলের সঙ্গে একটি অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। এ নিয়ে এমএলএসে ১৯তম ম্যাচে ১৫ গোল ও ১৫ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। যা এমএলএসের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম। সমান সংখ্যক গোলের রেকর্ড গড়া সেবাস্তিয়ান জিওভিনকোর লেগেছিল ২৯ ম্যাচ। অর্থাৎ ১০ ম্যাচ কম খেলেই মেসি তার সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ফিলাডেলফিয়াকে আতিথেয়তা দেয় ইন্টার মায়ামি। ম্যাচটিতে ৩-১ গোলে জয় তুলে নেয় মায়ামি। জোড়া গোল করেছেন মেসি। পাশাপাশি সুয়ারেজের গোলে করেছেন সহায়তা। ফিলাডেলফিয়ার একমাত্র গোলটি করেছেন মিকায়েল উরে।
ঘরের মাঠে ম্যাচের দুই মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে ইন্টার মায়ামি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল করে নিজ দল ফিলাডেলফিয়াকে লিড এনে দেন উরে। এরপরই ৪ মিনিটের ঝলকে জোড়া গোল করে মায়ামিকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান মেসি।
মেসি গোল দুটি করেন ২৬ ও ৩০ মিনিটে। তার করা গোল দুটিতে সহায়তা করেছেন বার্সেলোনার সাবেক দুই সতীর্থ। প্রথম গোলটিতে মেসিকে সহায়তা করেন সদ্য আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো লুইস সুয়ারেজ, দ্বিতীয়টির উৎস ছিলেন জর্দি আলবা।
পরে যোগ করা সময়ের ৮ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান সুয়ারেজ। যেটিতে আবার সহায়তা করেন মেসি। এই জয়ের পর মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সে ২৮ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল ইন্টার মায়ামি। ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স মিলিয়েও শীর্ষে রয়েছে তারা।
ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে মায়ামি বল দখলে এগিয়ে থাকলেও, তাদের রক্ষণকে দারুণ ব্যস্ত রাখে সফরকারী ফিলাডেলফিয়া। পুরো ম্যাচে ৬৩ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে মায়ামি। কিন্তু প্রতিপক্ষের গোলমুখে শট করতে পেরেছে মাত্র ৯টি। যার মধ্যে ৪টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৩৭ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রেখে ফিলাডেলফিয়া প্রতিপক্ষের গোলমুখে শট করে ২১টি যার মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে।
প্রসঙ্গত, কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এরপর থেকেই তিনি আর কোনো ম্যাচ খেলেননি। মেসির অনুপস্থিতিতে অবশ্য মেজর লিগ সকারে কোনো ম্যাচ হারেনি মায়ামি। তবে লিগস কাপে দুটি ম্যাচ হারে তারা। এমনকি শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি থেকে ছিটকেও যায় তার দল।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :