আসন্ন ড্রাফটের আগে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি একজন করে ক্রিকেটারকে সরাসরি চুক্তিতে দলে নেয়ার পাশাপাশি দুজনকে রিটেইন করার সুযোগ পাচ্ছেন। নতুন তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি অবশ্য তিনজনকে সরাসরি চুক্তিতে দলে নেবে।
ড্রাফটে ক্রিকেটারদের ছয়টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হচ্ছে। যেখানে একজন ক্রিকেটার সর্বোচ্চ ৬০ লাখ এবং সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে পাবেন। ‘এ’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা ৬০ লাখ, ‘বি’ ৪০ লাখ, ‘সি’ ২৫ লাখ, ‘ডি’ ২০ লাখ, ‘ই’ ১৫ এবং ‘এফ’ ক্যাটারগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পাবেন ১০ লাখ টাকা করে। যা আগের বিপিএল আসরগুলোর তুলনায় খানিকটা কম।
বিপিএলের গত আসরের হিসেব অনুযায়ী `এ` ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা ৮০ লাখ, ‘বি’ ৫০ লাখ, ‘সি’ ৩০ লাখ, ‘ডি’ ২০ লাখ, ‘ই’ ১৫ লাখ, ‘এফ’ ১০ লাখ এবং ‘জি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা ৫ লাখ টাকা করে পেয়েছিলেন। ৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিকের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন ১২ ক্রিকেটার।
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে এই তালিকায় আছেন লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাসকিন আহমেদ ও তাওহীদ হৃদয়। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ১২ জন, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ২২ জন, ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ২৮ জন, ‘ই’ ক্যাটাগরিতে ৫১ জন এবং ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে ৬৩ জনের। বিপিএলের গত মৌসুমে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকলেও মাশরাফি বিন মুর্তজাকে রাখা হয়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। এছাড়া ইমরুল কায়েসকে রাখা হয়েছে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে।
এদিকে এ ক্যাটাগরি বিন্যাস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইমরুল কায়েস। সেই সঙ্গে তিনি জানতে চেয়েছেন ক্রিকেটারদের গ্রেডিংটা কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ইমরুল কায়েস লেখেন, বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে ক্রিকেটারদের গ্রেডিং দেখে চিন্তা করছি গ্রেডিংটা আসলে কিসের ভিত্তিতে করা হয়। জাতীয় দল, সারা বছরের ঘরোয়া পারফরম্যান্স, বিপিএলের পারফরম্যান্স নাকি শুধু নাম দেখে করা হয়। বছরজুড়ে ক্রিকেটের আশেপাশে না থাকা ক্রিকেটারের জায়গা হলো ‘বি’ গ্রেডে। অথচ গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা ‘সি’ গ্রেডে। তবে কি শুধু নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয়?
তিনি আরও লেখেন, বিপিএলের ২০১৮-১৯ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে আমি ভালো করতে পারিনি। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর আমাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিসিবির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যখন কথা হলো তখন বাদ দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, বিপিএলে আমার পারফরম্যান্স তুলনামূলক ভালো ছিল না। যেহেতু প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি তাই আমি কোনো সংকোচ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম।
ইমরুল কায়েস বলেন, তবে জাতীয় দলে ফিরতে আমি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। ২০১৯-২০ মৌসুমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রানও করেছিলাম। কিন্তু এমন পারফরম্যান্সের পরও আমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়নি। এমনকি জাতীয় দলের কোন ক্যাম্পেও রাখা হয়নি। তবে কি বিপিএলে পারফর্ম না করলেই বাদ? কিন্তু পারফর্ম করলে, সেটাও তো বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। আমাদের ক্রিকেটের দুর্দিন কি তবে শেষ হবে না?
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :