আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা আগেই জানিয়েছেন বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এরপরই সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তরফদার রুহুল আমিন।
এই খবর প্রকাশের পর দেশের সব পর্যায়ের ক্রীড়া সংগঠক ও আসন্ন বাফুফে নির্বাচনের কাউন্সিলরদের বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা যায়। তাদের ভাষ্য, তরফদার যেভাবে শুরু করেছিলেন, তার ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি। তাকে বিশ্বাস করা যায় না, আস্থা রাখার উপলক্ষ সৃষ্টি হয় না।
তাই বাফুফের সভাপতির পদের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তরফদার রুহুল আমিন। তবে সিনিয়র সহসভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন কিনেছেন তিনি। শনিবার (১২ অক্টোবর) একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে এই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি।
জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর আগে দেশের প্রত্যেকটি জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে দুই লাখ টাকা করে দিয়েছিলেন সাইফ পাওয়ারটেকের এই কর্ণধর। উদ্দেশ্য ছিল, বাফুফে সভাপতি হওয়ার। কিন্তু তার ইচ্ছে পূরণ হয়নি। অনিবার্য বাস্তবতায় ফুটবল থেকে এরপর গুটিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে।
এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে যখন কাজী সালাউদ্দিন আগামী নির্বাচনে আর সভাপতির পদে দাঁড়াবেন না বলে ঘোষণা করেন, ঠিক তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচতারকা একটি হোটেলকে ভেন্যু করে বিএনপি নেতা ও সাবেক গোলরক্ষক গ্রেট আমিনুল হকের প্রকাশ্য উপস্থিতি ও সমর্থনে তরফদার রুহুল আমিন ২৬ অক্টোবর বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
কিন্তু কাউন্সিলরদের সমর্থন না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সহসভাপতি পদে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন রুহুল আমিন। আর সভাপতি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তাবিথ আউয়াল এবং ইমরুল হাসান।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :