বাংলাদেশের ক্রিকেটার আর সমর্থকদের জন্য দিনটা ভুলে যাওয়ার মতোই। এমন লজ্জাজনক দিন বোধহয় আর কখনও দেখেনি টাইগার ক্রিকেট। ঠিক কতটা লজ্জা? টি-টোয়েন্টিতে পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কারা সবচেয়ে বেশি রান হজম করেছে- এ প্রশ্নের উত্তরে যে দেশটার নাম আসে, সেটা যে বাংলাদেশ। হায়দরাবাদ টি-টোয়েন্টিতে রিশাদ হোসেন-তাসকিন আহমেদদের ওপর তাণ্ডবলীলা চালিয়ে ২৯৭ রান করেছে ভারত।
সর্বোচ্চ রান হজম করার নজিরটি ছিল আয়ারল্যান্ডের। ২০১৯ সালে তাদের বিপক্ষে ২৭৮ রান করেছিল আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান হজম করার লজ্জাটা মঙ্গোলিয়ার। গত বছর হাংঝুতে তাদের বিপক্ষে ৩১৪ রান করেছিল নেপাল। আবার পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ডটি এখন ভারতের।
শনিবার (১২ অক্টোবর) প্রথম দুই ওভারে ২৩ রান দিয়ে বাজে শুরু হয় বাংলাদেশের। পরের ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট এনে দেন তানজিম সাকিব। মিডউইকেটে ক্যাচ ধরেন শেখ মেহেদী, উইকেট নিলেও ওই ওভারে ১২ রান খরচ করেন সাকিব। তিনি আগের ম্যাচেও অভিষেকের উইকেট নিয়েছিলেন।
উইকেট হারালেও রানের গতি থামায়নি ভারত। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই তারা স্কোবোর্ডে তুলে ৮২ রান, স্যামসন-সূর্যকুমারের জুটি হয় ৫৯ রানের। টি-টোয়েন্টির পাওপারপ্লেতে ভারতের এটা যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান। ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট ৮২ রান করেছিল তারা।
২০১৯ সালে রাজকোটে ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত শর্মা। সেটা ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের কোনো ব্যাটারের দ্রুততম ফিফটি। রোহিতের রেকর্ড দখলে নিয়েছেন স্যামসন। ২২ বলে অর্ধশত রান করেছেন তিনি।
দলীয় দশম ওভারে দ্বিতীয় বার বল হাতে নেন রিশাদ। প্রথম বলটি ডট দেন তিনি। পরের ৫ বলেই ছক্কা হাঁকান স্যামসন। ফলে ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫২। স্যামসন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরিটি হাঁকান ৪০ বলে। পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এর চেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি আছে আর মাত্র ৩টি। ৩৫ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি ডেভিড মিলারের।
১৭৩ রানের জুটির পর ভাঙে স্যামসন-সূর্যকুমারের জুটি। মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হওয়া স্যামসন ক্যাচ দেন মেহেদীকে। ৪৭ বলে ১১১ রানের ইনিংসে ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। একটু পর সূর্যকুমারও ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। বিদায়ী রিয়াদের শিকার হওয়ার আগে ৩৫ বলে ৭৫ রান করেন তিনি।
এরপর শুরু হয় হার্দিক পান্ডিয়ার নান্দনিক ব্যাটিং প্রদর্শনী ও পরাগের তাণ্ডব। ১৩ বলে ৩৪ রান করে পরাগ প্যাভিলিয়নে ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। পান্ডিয়াও একটু পর বিদায় নেন। ১৮ বলে তিনি করেন ৪৭ রান। রিংকু সিং ৮ ও ওয়াশিংটন সুন্দর করেন ১ রান।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :