১৭ বছর পর প্রথম কোন ব্রাজিলিয়ান হিসেবে ব্যালন ডি’অর জয়ে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে এগিয়ে রাখলেন নেইমার। ২০০৭ সালে ফুটবলের অন্যতম মর্যাদাকর এই পুরস্কার জয় করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা কাকা। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গত মৌসুম দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন ভিনিসিয়াস। তার সাথে আরেক ব্রাজিলিয়ান ও ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রড্রিও এবারের ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। আগামী ২৮ অক্টোবর প্যারিসে বিজয়ীর নাম ঘোষনা করা হবে।
নেইমার ভিনিসিয়াস সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে দারুন সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি ভিনিকে ভালবাসি। ফুটবলে সে আমার অনেক ভাল একজন বন্ধু। গত মৌসুমটা তার দারুন কেটেছে, অনেক ম্যাচ খেলেছে। আমি অবশ্যই ব্যালন ডি’অর হয়ে প্রথমেই তার নাম বলবো। আমার কাছে সে ছাড়া এই পুরস্কার জয়ে আর কেউ বিজয়ী নেই।’
লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ভিনিসিয়াস সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ২৪ গোল ও ১১টি এ্যাসিস্ট করেছেন। গত মৌসুমে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মাদ্রিদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেছিলেন ভিনি।
ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার ২০১৫ ও ২০১৭ সালে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর পর ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের তালিকায় তৃতীয় স্থান লাভ করেছিলেন। এবার ভিনিসিয়াসের সময় বলে নেইমার বিশ্বাস করেন।
আল হিলালের এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘আশা করছি ব্যালন ডি’অর দ্রুতই ব্রাজিলে ফিরে আসবে। সেটা ভিনিকে দিয়েই হোক। এবারের পুরস্কারটা তারই প্রাপ্য। ক্যারিয়ারে সে অনেক কষ্ট করে সামনে এগিয়ে গেছে। এর মাঝে সকলের প্রত্যাশাকে সে ছাড়িয়ে গেছে। তাকে নিয়ে যখনই সমালোচনা হয়েছে সেটাকে সে কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। আজ ভিনি একজন সেরা তারকায় পরিনত হয়েছে। সারা বিশ্বে ব্রাজিলের পতাকা যেভাবে বহন করছে তাতে আমি ভিনিকে নিয়ে দারুন গর্বিত।’
২৪ বছর বয়সী ভিনি ২০১৮ সালে স্পেনে আসার পর থেকেই বারবার বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এই ধরনের অপরাধের বিপক্ষে তিনি লড়াইও চালিয়ে যাচ্ছেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :