মিরপুর টেস্টে তৃতীয় দিনের শুরুতেই ৭ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিরাজ ও জাকেরের ব্যাটে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিকরা। সেই সঙ্গে ইনিংস হারের শঙ্কা কাটিয়ে লিডে রয়েছে টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় সেশনের মাঝে মিরপুরে হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি।
এরপর খেলা শুরু হলেও মিরপুরের আকাশ মেঘে ঢেকে থাকায় আলোকস্বল্পতার করণে ৫ ওভার পর আবারও খেলা বন্ধ রাখেন আম্পায়াররা। শেষ পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার না হওয়ায় তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন আম্পায়াররা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ সাত উইকেটে ২৮৩ রান। নিজেদের প্রথম ইনিংসে টাইগাররা ১০৬ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০৮ রান করেছে। স্বাগতিকদের লিড ৮১ রান।তিন উইকেটে ১০১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন খেলতে নামে বাংলাদেশ। দিনের প্রথম ৪ ওভার নির্বিঘ্নে কাটালেও এরপরই নামে বিপত্তি। কাগিসো রাবাদার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ৪০ রানে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়।
নিজের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন লিটন। তবে পরের বলে ফের ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। রাবাদার করা ইনসুইঙ্গারে বোল্ড হন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ৩৩ রান করেন তিনি। লিটন দাসও ভরসার প্রতিদান দিতে পারেননি। ৭ রানে ফেরেন এ ব্যাটার।
১১২ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী। লাঞ্চের আগে বাকি সময় আর উইকেট হারায়নি টাইগাররা।
এরই মধ্যে অর্ধশতক পূরণ করেন মিরাজ। কেশভ মহারাজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের নবম অর্ধশতকে পৌঁছান তিনি। ফিফটির দেখা পান জাকেরও। ড্যান পিয়েটকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান এ ব্যাটার।
দারুণ খেলতে থাকা জাকের ৫৮ রানে মহারাজের বলে আউট হন। এর মাধ্যমে ভাঙে সপ্তম উইকেটে মিরাজের সঙ্গে তার ১৩৮ রানের জুটি। দিনের বাকিটা সময় দলকে এগিয়ে নেন নাঈম হাসান ও মিরাজ।
প্রথমে বৃষ্টি ও এরপর আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ থাকে দুইবার। পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটায় নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা আগেই দিনের খেলা স্থগিত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। মিরাজ ৮৭ ও নাঈম ১৬ রানে অপরাজিত আছেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :