চট্টগ্রামে ব্যাটাররা সবসময় বাড়তি সুবিধা পায় এটা অনেক পুরোনো কথা। তাই টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে নামার সময় বোঝা যাচ্ছিল বড় সংগ্রহের পথে হাঁটবে সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে ৫৭৭ রান তুলে বাংলাদেশকে ব্যাট করার সুযোগ দিয়েছিল প্রোটিয়ারা। তবে সেই ব্যাটিং পিচেই টাইগাররা যা করে দেখাল তা হয়তো কেউই আশা করেনি। ৩৮ রানেই চার উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। এখনো ৫৩৭ রানে পিছিয়ে টাইগাররা, ইনিংস হার এড়াতে প্রয়োজন ৩৩৮ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন সাদমান ইসলাম। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ১০ ও তিনে নামা জাকির হাসান ২ রানে আউট হন। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে ব্যর্থ হাসান মাহমুদ ফেরেন ৩ রানে।
মাত্র ৩২ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশ বড় বিপদের মুখে। আলোকস্বল্পতায় খেলা আগেভাগে বন্ধ হওয়ায় হয়তো স্বস্তিতেই মাঠ ছেড়েছেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তারা যথাক্রমে ৬ ও ৪ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে ২ উইকেটে ৩০৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের জন্য ছিল হতাশার মুহূর্ত। দ্বিতীয় ওভারে হাসানের বলে বেডিংহামকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি।
এরপর স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদনও ছিল তার বিপক্ষে। সেখানেও বেঁচে যান বেডিংহাম। দিনের প্রথম ১৭ ওভার নির্বিঘ্নেই কাটায় তারা। বড় পুঁজির পথে এ সময় ভালোভাবেই এগোচ্ছিল প্রোটিয়ারা। তবে এরপরই দৃশ্যপটে তাইজুলের আবির্ভাব।প্রথমে ৫৯ রান করা রিকেলটনকে বোল্ড করেন তাইজুল। একটু পরই টনি ডি জর্জিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ক্যারিয়ার সেরা ১৭৭ রান করেন এ ব্যাটার। সেই রেশ না কাটতেই রানের খাতা খোলার আগে কাইল ভেরেইনকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার।
মাত্র ৫ রানের মাঝে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভেরেইনকে ফিরিয়ে আরো একবার ফাইফারের স্বাদ পান তাইজুল। প্রথম সেশনের বাকি সময় নির্বিঘ্নে কাটান রিকেলটন ও মুল্ডার।
লাঞ্চ বিরতির পর উইকেটের পিছে ক্যাচ দিয়ে ১২ রানে ফেরেন রিকেলটন। তবে এরপর ১৫৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন মুল্ডার ও মুথুসামি। তাইজুলকে বাউন্ডার হাঁকিয়ে মুল্ডার সেঞ্চুরি পূরণের পরই ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়ারা।
উইয়ান মুল্ডার ১০৩ ও সেনুরান মুথুসামি ৭০ ও রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম পাঁচটি ও নাহিদ রানা একটি করে উইকেট নেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :