ইউরোপের ক্লাবগুলোর সবচেয়ে বড় সমস্যা ফুটবলারদের ইনজুরি। প্রতি ম্যাচেই কোনো না কোনো ফুটবলার ইনজুরিতে পড়ছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) চেলসি-আর্সেনাল ম্যাচেও চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন গানারদের দুই ফুটবলার বুকায়ো সাকা এবং ডেকলান রাইস। ম্যাচ শেষে আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিরতির পর সম্পূর্ণ এক ফিট দল চান তিনি।
আর্তেতা বলেন, ‘আমি যেটা প্রার্থনা করছি, সেটা হলো আন্তর্জাতিক বিরতির পর আমরা যেন পুরোপুরিভাবে শারীরিকভাবে সক্ষম দলটিকে ফিরে পাই। তারা যেন খেলার জন্য প্রস্তুত থাকে এবং সবাই যেন ফিট থাকে। কারণ, আট সপ্তাহ ধরে এটা আমাদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে আছে।’
চোট নিয়ে আর্তেতার চিন্তা হওয়ারই কথা। কারণ চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ইনজুরির কারণে ম্যাচ মিস করেছেন। ব্রাজিল দলে খেলতে গিয়ে চোটে পড়েছিলেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। ইনজুরিতে পড়েছিলেন ইউরিয়েন টিম্বার, টমাস পার্টি, বেন হোয়াইট ও তাকেহিরো তোমিয়াসুও। আর গত সপ্তাহে ইনজুরি থেকে ফিরেছেন আর্সেনালের অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড।
তবে শুধু যে আর্সেনালের খেলোয়াড়রাই ইনজুরিতে পড়ছে তেমনটা নয়। রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসির মতো দলের বেশকিছু ফুটবলার ইনজুরির কারণে দীর্ঘ দিনের জন্য ছিটকে গেছেন বা কিছু ম্যাচ মিস করেছেন।
বার্সেলোনার লামিন ইয়ামাল এবং রবার্ট লেভানদোভস্কি, ম্যানচেস্টার সিটির রদ্রি, জস স্টোনস, জেরিমি ডকু, জ্যাক গ্রিলিশের মতো ফুটবলাররা ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গেছেন দীর্ঘদিনের জন্য। আর রিয়াল মাদ্রিদের তো ইনজুরির তালিকা সবচেয়ে দীর্ঘ। আগে থেকেই কারভাহাল, কোর্তোয়া, আলাবারা ইনজুরিতে ছিলেন। তার উপর লিগে শেষ ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছেন মিলিতাও এবং রদ্রিগো। মিলিতাও-এর জন্য এই মৌসুমটাই শেষ হয়ে গেছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :