টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের সমাপ্তি রেখা টানলেন ইমরুল কায়েস। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ম্যাচের তৃতীয় দিনে শেষবারের মতো লাল বলের ম্যাচ খেলে ফেললেন।ইমরুল অবশ্য শেষটা জয়ে রাঙাতে পারেননি। তার দল খুলনা বিভাগকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। খেলা শেষে সতীর্থদের কাঁধে চড়েই মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
বিদায়ী ম্যাচ শেষেই সংবাদ সম্মেলনে হাজির বাঁহাতি এই ব্যাটার। ক্যারিয়ারে যেসব অধিনায়কের অধীনে খেলেছেন, তাদের মধ্যে সাকিব আল হাসান সেরা বলেই জানালেন। সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার কথাও উল্লেখ করেন। তার চোখে উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে সেরা সঙ্গী তামিম ইকবাল।
দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার ফিটনেস এখন যে পর্যায়ে আছে, তাতে ওয়ানডে ও টি-২০`র জন্য নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারবো এবং আরো কয়েক বছর খেলতে পারবো। চার দিনের ম্যাচ খেলার জন্য যে পরিমাণ শক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকতে হয়, তা এখন আর নেই।’
‘আমার মনে হয়েছে, আমি যদি নিজেকে তরুণদের সঙ্গে তুলনা করি এবং ওদের মতো ছন্দে খেলতে না পারি, তাহলে নিজেকে ছোট মনে হয় এবং লজ্জা লাগে। কিন্তু সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে একদিনেই খেলা শেষ হয়ে যায়। এখানে ফুল এনার্জি দেওয়া সম্ভব।’
ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ৩৭ বর্ষী ক্রিকেটারের মন্তব্য, ‘প্রথমত বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যখন বিসিবিকে সিদ্ধান্তের কথা জানাই, তারা ব্যাপারটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। আমাকে অনেকেই বলেছে, “ভাই, আপনি আরও ২ বছর খেলতে পারতেন।” কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, আরো ২ বছর খেললে তারাই প্রশ্ন করতো “ভাই, আপনি কবে খেলা ছাড়বেন?” এই কথাগুলো শোনার চেয়ে নিজ থেকেই চলে যাওয়াটা ভালো মনে হয়েছে। সম্মান থাকা অবস্থাতেই সরে দাঁড়ানোর বোধশক্তি থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি ১৫০ রানের। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া সেই টেস্টে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৩১২ রানের জুটি গড়েছিলেন ইমরুল। তামিম করেন ডাবল সেঞ্চুরি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :