অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা গেল। আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে হাইব্রিড মডেলে। টুর্নামেন্টের দশটি ম্যাচ হবে পাকিস্তানে। আর বাকি ম্যাচগুলো হবে দুবাইয়ে।
নিরাপত্তা ইস্যুতে পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে ভারতের আপত্তি থাকায় সেখানে কোনো ম্যাচ রাখা হয়নি দেশটির। ভারতের গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ এবং সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু হবে দুবাই। তবে ভারত গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়লে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচ হবে লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করে অবশ্য কোনো ক্ষতি হচ্ছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। কারণ এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভালোভাবে আয়োজন করতে পারলে ২০২৭ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব পাবে তারা।
শুধু ভারতই নয়, শর্ত রেখেছে পাকিস্তানও। ২০২৬ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজনের করবে ভারত এবং শ্রীলঙ্কা। এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের কোনো ম্যাচ খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান। তাদের সবগুলো ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়। এমনকি ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচও হবে কলম্বোতে। তবে পাকিস্তান বিশ্বকাপের নকআউটে উঠলে সে ম্যাচ কোথায় হবে, তার সিদ্ধান্ত হয়নি এ বৈঠকে। আইসিসি চেয়ারম্যান এবং অন্য বোর্ড সদস্যদের উপস্থিতিতে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম।
১৯৯৬ সালের পর প্রথম কোনো আইসিসি ইভেন্ট হতে যাচ্ছে পাকিস্তানে। ২০০৯ সালে লাহোরে ক্রিকেটারদের ওপর হামলা হওয়ার পর দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের কোনো সুযোগ পায়নি পাকিস্তান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লেগেছে এক দশকেরও বেশি। গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পূর্ণ মাত্রায় ফিরলেও বড় টুর্নামেন্ট এবারই আয়োজন করতে যাচ্ছে পিসিবি।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :