প্রথম ২টি টেস্ট জিতে আগেই সিরিজের দখল নেয় ইংল্যান্ড। তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হ্যামিল্টন টেস্টে হার বাঁচানো সহজ ছিল না ব্রিটিশদের পক্ষে। বেন স্টোকসদের সামনে এত বড় রানের টার্গেট দেয় কিউয়িরা, হাতে দু`দিনের বেশি সময় থাকলেও শেষ ইনিংসে সেই রানের পাহাড় টপকানো কার্যত অসম্ভব দেখাচ্ছিল।
হলও তাই। জয়ের জন্য বিরাট রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ধসে পড়ে ইংল্যান্ডের শেষ ইনিংস। ৪২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হ্যামিল্টন টেস্ট জিতে সিরিজে ব্যবধান কমিয়ে ২-১ করে নিউজিল্যান্ড।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রানের নিরিখে এটি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে নিউজিল্যান্ডের সব থেকে বড় জয়ের যুগ্ম রেকর্ড। এর আগে ২০১৮ সালে ক্রাইস্টচার্চে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪২৩ রানে টেস্ট জেতে নিউজিল্যান্ড। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে টিম সাউদির এটিই কেরিয়ারের শেষ টেস্ট। সুতরাং, রেকর্ড জয় দিয়ে সাউদির বিদায়ী টেস্ট স্মরণীয় করে রাখে নিউজিল্যান্ড।
হ্যামিল্টনে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তারা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ৩৪৭ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় মাত্র ১৪৩ রানে। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২০৪ রানের বড়সড় লিড নিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ড।
বিরাট রানের লিড হাতে থাকা সত্ত্বেও ইংল্যান্ডকে ফলো-অন করায়নি নিউজিল্যান্ড। পরিবর্তে নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫৩ রান তোলে। ফলে প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৬৫৮ রানের।
ইংল্যান্ড তৃতীয় দিনের শেষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৮ রান তোলে। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ২ দিনে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল আরও ৬৪০ রান। তাদের হাতে ছিল ৮টি উইকেট। তবে চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড তাদের শেষ ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২৩৪ রানে।
ইংল্যান্ডের হয়ে শেষ ইনিংসে জেকব বেথেল ৭৬, জো রুট ৫৪ ও গাস অ্যাটকিনসন ৪৩ রান করেন। হ্যারি ব্রুক ১ রান করে আউট হন। চোটের জন্য ব্যাট করতে নামেননি ক্যাপ্টেন বেন স্টোকস।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ রানে ৪ উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার। ২টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি ও কেরিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে নামা টিম সাউদি। ১টি উইকেট নেন উইলিয়াম ও`রোর্ক।
উল্লেখ্য, হ্যামিল্টন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৬ রান করেন কেন উইলিয়ামসন। তবে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৭৬ ও ৪৯ রান করেন মিচেল স্যান্টনার। সেই সঙ্গে তিনি দুুই ইনিংসে যথাক্রমে ৩টি ও ৪টি উইকেট নেন। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন স্যান্টনার। তিন টেস্টে সাকুল্যে ৩৫০ রান সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন হ্যারি ব্রুক।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :