পানামার ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ম্যানুয়েল আরিয়াসকে ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করেছে ফিফা। নারী ফুটবলারদের প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্যের কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থার বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানকে আরও একবার সামনে নিয়ে এসেছে।
পানামা জাতীয় দল এবং তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবাচের নারী ফুটবলার মার্তা কক্স ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পানামার নারী ফুটবলের অবকাঠামো নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, নারী ফুটবলাররা পর্যাপ্ত বেতন পান না এবং মাঠ ও অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা খুবই সীমিত।
মার্তা কক্সের এই সমালোচনা ম্যানুয়েল আরিয়াস ভালোভাবে নেননি। সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি মার্তা কক্সকে ‘মোটা’ বলে আখ্যা দেন এবং বলেন, সে এখন আকারের বাইরে চলে গেছে। মোটা হওয়ার কারণে মাঠে নড়াচড়া করতেও পারে না। এই মন্তব্যের পরপরই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে কক্স প্রকাশ্যে আরিয়াসকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন এবং তা না হলে জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দেন। বিষয়টি ফিফার নজরে আসে। ফিফা এই মন্তব্যকে আপত্তিকর ও অসম্মানজনক হিসেবে চিহ্নিত করে আরিয়াসকে ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করে।
ফিফার শাস্তি মেনে নিয়ে ম্যানুয়েল আরিয়াস তার মন্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ ঘটনা থেকে তিনি শিক্ষা নিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকবেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফিফা নারী ফুটবলের প্রতি আরও সহমর্মিতা ও সম্মান প্রদর্শনের বার্তা পুনর্ব্যক্ত করেছে। বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ফিফার দৃঢ় অবস্থান এবং নারীদের প্রতি সম্মানজনক আচরণের গুরুত্ব এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে।
নারী ফুটবলারদের প্রতি সম্মান এবং সমান অধিকার নিশ্চিত করতে এই ধরনের পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। ফিফার এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র পানামা নয়, পুরো ফুটবল বিশ্বে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :