রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতায় এই পুরস্কার পেয়েছে তারা। এছাড়া ফুটবল খেলে সমাজ পরিবর্তনের স্বীকৃতি হিসেবে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।
প্রথমে নারী ফুটবল দলের ১১ জনকে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বাফুফে কোন ১১ জনকে পাঠাবে তা নিয়ে বিপাকে পড়েছিল। পরে বাফুফে দলের ৩২ সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অনুরোধ করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে।
শেষ পর্যন্ত ২৩ ফুটবলার ও কোচ-কর্মকর্তাসহ বাকি ৯ জনকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। দলের পক্ষ থেকে পদক গ্রহণ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সর্বশেষ সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের অন্য ফুটবলাররাও।
এর আগে কোনো ক্রীড়া দল একুশে পদক পায়নি। সংস্থা হিসেবে ২০০১ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে স্বাধীনতা পদকের জন্য স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অনেকবারই আবেদন করেছিল, কিন্তু তারা এখনো পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়নি।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে থাকায় কোচের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এছাড়া, সাফ কন্টিনজেন্টের বাইরেও বাফুফের ৭ জন কর্মকর্তা আমন্ত্রিত ছিলেন। এর মধ্যে সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি অনুষ্ঠানে যাননি। চার সহ-সভাপতির মধ্যে একজন (সাব্বির আহমেদ আরেফ) এবং নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে ইকবাল হোসেন, গোলাম গাউস, কামরুল ইসলাম হিল্টন, সাখওয়াত হোসেন ভূইয়া শাহীন, আমিরুল ইসলাম বাবু উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :