চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অভিযান শুরুর আগে চিন্তার ভাজ অস্ট্রেলিয়ার কপালে। ম্যাট কুনম্যানের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। এবার তা নিয়ে আইসিসির সামনে পরীক্ষা দিতে হল তাকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নামার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখানেই কুনম্যানের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
সিরিজের পরেই অজি স্পিনার ম্যাট কুনম্যানের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন আম্পায়াররা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার সেরা স্পিনার হতে উঠেছিলেন কুনম্যান। তিনি প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৫টি উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৬ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪টি উইকেট।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে কুনম্যান ৬৩ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৬৩ রানে ৪ উইকেট নেন। অর্থাৎ দু`টি টেস্ট মিলিয়ে তিনি সর্বমোট ১৬টি উইকেট নিয়েছিলেন। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে করে তাঁর ভবিষ্যৎ ঝুলে রয়েছে আইসিসির হাতে। চলতি সপ্তাহের শেষে ব্রিসবেনে আইসিসি অনুমোদিত সেন্টারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন কুনম্যান। বুধবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ম্যাথু ওর বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা প্রমাণে ব্রিসবেনে ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারে পরীক্ষা দেন। পুরো বিষয়টি আইসিসি বিবেচনা করবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বা কুনম্যান এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবে না।’
ব্রিসবেনে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা একটি সেশনে ২৮ বছর বয়সী এই অজি বোলারকে গলে যেই গতিতে এবং যেই ছন্দে বল করেছিলেন, সেরকম ভাবে বল করতে হয়। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞরা কুনম্যানের শরীরে মার্কার এবং বেশ কয়েকটি উচ্চ-গতির ক্যামেরা ও একটি থ্রি ডি গতি বিশ্লেষণ সিস্টেম লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কুনম্যানের পদক্ষেপের বিষয়ে আইসিসির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই পরীক্ষার ফলাফলগুলি আগামী সপ্তাহে মূল্যায়ন করা হবে।
যদি তিনি তার স্টক বলের উপর তার কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি প্রসারিত করতে পাওয়া যায়, তাহলে কুনম্যানকে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করা হবে যতক্ষণ না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি সমস্যাটি কাটিয়ে উঠেছেন। তবে পরীক্ষায় পাশ করলে তিনি শেফিল্ড শিল্ডে তাসমানিয়ার হয়ে বোলিং চালিয়ে যেতে পারবেন এবং জুনে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য উপলব্ধ থাকবেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে কুনম্যানের পাশেই রয়েছে তাঁর দেশ। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করেছিলেন স্টিভ স্মিথও।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :