হার্দিক পান্ডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুধু ৭ কোটির ঘড়ি পরে খেলতে নামেননি, সেই হাতে ছিল বিশেষ গ্লাভসও। কালো রঙের সেই গ্লাভসে ঢাকা ছিল হার্দিকের তালু এবং আঙুলের কিছুটা অংশ। কী এই গ্লাভস? পরে খেললে বাড়তি কিছু সুবিধা পাওয়া যায়?
বিশেষ ধরনের এই গ্লাভসটিকে এমসিপি গ্লাভস বলে। এর পুরো নাম মেটাকার্পোফ্যানেনজিয়াল গ্লাভস। আঙুল এবং তালুর হাড়কে সুরক্ষিত রাখতে এই গ্লাভস ব্যবহার করা হয়। শুধুমাত্র বল করার সময় বাঁ হাতে এই গ্লাভস পরেন হার্দিক। ফিল্ডিং করার সময় যদিও ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী এটি খুলে রাখতে হয় তাঁকে। হার্দিক ডান হাতে বল করেন। সেই সময় বাঁ হাতে যাতে কোনও চোট না লাগে, সেই কারণেই এই ধরনের গ্লাভস ব্যবহার করেন তিনি।
এমসিপি গ্লাভস সাধারণত সব ব্যাটারেরা ব্যবহার করেন।তারা এটি মূল গ্লাভসের নীচে পরেন। যে কারণে সাধারণত এমসিপি গ্লাভস দর্শকদের চোখ এড়িয়ে যায়। ৭ কোটি টাকার ঘড়ির সঙ্গে তাঁর হাতে এই বিশেষ গ্লাভসও নজর কেড়েছে। যদিও ঘড়ির তুলনার এমসিপি গ্লাভসের মূল্য সামান্যই। বাজারে ৩৫০ টাকার মধ্যে এই গ্লাভস পাওয়া সম্ভব।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে কমলা রঙের একটি ঘড়ি পরেছিলেন হার্দিক। সেই ঘড়িটি বিদেশি বিলাসী সংস্থা রিচার্ড মিলের বিশেষ সংস্করণ। নাম ‘টারবিলন রাফায়েল নাদাল স্কেলিটন ওয়াচ’। দাম ৮ লক্ষ মার্কিন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৬ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সমান।
হার্দিক বরাবরই ঘড়ি পরতে ভালবাসেন। তাঁর দামি ঘড়ির সংগ্রহের কথা এর আগে বহু সাক্ষাৎকারে বলেওছেন হার্দিক। ঘড়ির দুনিয়ায় ‘কালেক্টর্স পিস’ বলে পরিচিত বহু ঘড়িই রয়েছে হার্দিকের সংগ্রহে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পরার জন্য যে ঘড়িটি বেছে নিয়েছেন, সেটির ব্যান্ড উজ্জ্বল কমলা রঙের। ধূসর রঙের বড় ডায়ালটি রেসিং কার থেকে অনুপ্রাণিত। কার্বন টিপিটি বেসপ্লেটের। যাতে আঘাত লাগলেও নষ্ট না হয়। ডায়ালের ভিতরে স্পষ্ট দৃশ্যমান গ্রেড ৫ টাইটানিয়ামে তৈরি ঘড়ির যন্ত্রপাতি। সম্ভবত সেগুলি দেখা যাচ্ছে বলেই ঘড়ির নাম স্কেলিটন।
রিচার্ড মিল সংস্থা ওই ঘড়ি তৈরি করেছিল টেনিস তারকা রাফায়েল নাদালের জন্যই। পরে তা আরও ৫০টি বানানো হয়। সেই সীমিত সংস্করণেরই একটি হার্দিকের সংগ্রহে। ঘড়ি বিক্রেতা সংস্থা জেম নেশন জানিয়েছে, ঘড়িটির ডায়ালের কাচ আদতে একটি পোখরাজের স্ফটিক। যা সহজে ভাঙবে তো না-ই, তাতে আঁচড়ও পড়বে না।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :