কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে মাত্র ৬ মিনিটে ২-০ গোলে পিছিয়ে যায় বার্সেলোনা। খেলার এই অবস্থা থেকে ৪-২ গোলের স্কোরলাইন করে বার্সা। কিন্তু ৯৩ মিনিটে ৪-৪ গোলে খেলা শেষ হয়। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি কাতালানরা।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনার কামব্যাক, সেখান থেকেই অ্যাতলেটিকোর ফের ফিরে আসা। ম্যাচের প্রথম ৪৬ সেকেন্ডেই পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। ৬ষ্ঠ মিনিটেই ফের গোল হজম করে বার্সেলোনা। জুলস কুন্দের ভুল পাসের সুবাদে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় সফরকারীরা। আলভারেজের পাস আর গ্রিজমানের ফিনিশে অ্যাতলেটিকোর লিড হয় ২-০।
ম্যাচের এরপরের সময়টা শুধুই বার্সেলোনার। দ্বাদশ মিনিটে গোলের সুযোগ হারান ফেরান তরেস। রাফিনিয়ার পাস থেকে হুয়ান মুসোকে ওয়ান অন ওয়ানে পরাস্ত করতে পারেননি। কিন্তু হাল ছাড়েনি বার্সা। বরং ১৯ থেকে ২১ এই তিন মিনিটে তারা ম্যাচে ফিরিয়েছে সমতা। জ্যুলস কুন্দের পাস থেকে প্রথম গোল পেদ্রির। আর ২১ মিনিটে রাফিনিয়ার কর্ণার থেকে হেডে গোল পাউ কুবার্সির।
৩২তম মিনিটে ফের গোলের কাছে গিয়ে হতাশ হতে হয় ফেরান তোরেসকে। বার্সেলোনার আক্রমণে তখন অ্যাতলেটিকো রীতিমতো দিশেহারা। সেটার সুফলও স্বাগতিকরা পেয়ে যায় ৪১ মিনিটে। এবারেও রাফিনিয়ার ক্ররনার। ইনিগো মার্তিনেজ অনেকটা দৌড়ে নিয়েছেন নিখুঁত হেড। । প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লামিনে ইয়ামাল ও দানি ওলমোর শট ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মুসো।
বিরতির পর ওলশেক সেজনিও দেখালেন নিজের গ্লাভসের দৃঢ়তা। গ্রিজমানের নেয়া শট ফেরান তিনি। ৭২ মিনিটে অবশ্য গোল পেয়ে গিয়েছিল অ্যাতলেটিকো। যদিও অফসাইডের কারণে গোল পায়নি সিমিওনে শিষ্যরা।
৭৪তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-২ করেন বদলি নামা লেভানডফস্কি। এখান থেকেই শুরু অ্যাতলেটিকোর ম্যাচে ফেরার শেষ লড়াই। মিনিট দশেক পর জোরাল শটে বার্সার জাল কাঁপান অ্যাতলেটিকো ডিফেন্ডার মার্কাস লরেন্তে। আর ৯৩তম মিনিটে সরলথের গোলে ম্যাচে সমতা আনে সফরকারীরা।
আগামী ২ এপ্রিল অ্যাতলেটিকোর মাঠে হবে ফিরতি লেগ।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :