শক্তিশালী জাতীয় দল গঠনের লক্ষ্যে দুইদিন ব্যাপী ট্রায়াল শুরু করেছে বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশন। টঙ্গির আরচ্যারী প্রশিক্ষন কেন্দ্রে সকাল থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় আরচ্যাররা। মোট ২০ জন আরচ্যার নিজেদের সেরাটা দিয়ে জাতীয় দলে জায়গা পেতে লড়ছে। আরচ্যারীর হেড কোচ মার্টিন ফ্রেডরিকের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে এই ট্রায়াল কার্যক্রম।
গত র্যাংকিং টুর্নামেন্টে যারা ভালো করেছে তারা সুযোগ পেয়েছে এই ট্রায়ালে। ছেলে ও মেয়েদের রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড ইভেন্টের জন্য আরচ্যার বাছাই করা হবে। এ বছর বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বাংলাদেশ আরচ্যারী দল। এছাড়া নভেম্বরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান আরচ্যারী চ্যাম্পিয়নশিপ। আগামী বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানে হবে এস এ গেমসের আসর। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে ভালো মানের দল গঠন করে রাখতে চায় আরচ্যারী ফেডারেশন। তবে এ বছরের জন্য ট্রায়াল এখানেই শেষ নয়। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরে চারটি র্যাংকিং টুর্নামেন্ট ও চারটি ট্রায়াল পরিচালনা করে থাকে আরচ্যারী ফেডারেশন।
আরচ্যারী ফেডারেশনের ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটির আহবায়ক মোঃ ফারুক ঢালী জানিয়েছেন `চেষ্টা আগে থেকেই থাকতে হবে। তাৎক্ষণিক দল গঠন করে দুই বা তিন মাস আগে প্রস্তুতি নিয়ে কোনো টুর্নামেন্টে ভালো ফলাফল আশা করা যায় না। আরচ্যারী ফেডারেশন নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সারা বছরই মাঠে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।`
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আরচ্যার রামকৃষ্ণ সাহা ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন। এ মাসেই থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং টুর্নামেন্ট খেলে এসেছেন তিনি। ট্রায়াল থেকে বাংলাদেশের সেরা দলটাই পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন রামকৃষ্ণ। `বাংলাদেশের সব সেরা আরচ্যাররা এখানে ট্রায়ালে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই এখানে বেশ প্রতিযোগিতা হবে। আমাদের স্কোর মোটামুটি বিশ্বমানের বলা যায়। বিশেষ করে আমাদের রিকার্ভ পুরুষ দলের কথা বলব আমাদের নিজেদের মধ্যে অনেক প্রতিযোগিতা হয়। এর ফলে আমরা স্কোর ভালো করি। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আমাদের স্কোর ভালো। আমার কাছে মনে হয় এই ট্রায়ালের মাধ্যমে যে টিমটা আসবে সেটা বাংলাদেশের সেরা টিম হবে।`
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আরেক আরচ্যার সীমা আক্তার শিমুও খেলেছেন থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং টুর্নামেন্টের রিকার্ভ ডিভিশনে। ট্রায়ালের এক ফাঁকে থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে শিমু জানান প্রতিকূল আবহাওয়ার সাথে লড়তে হয়েছে তাদের। `এখানে আমাদের আবহাওয়া একদম নরমাল। বাতাস নেই। থাইল্যান্ডে বাতাস ছিল। বাতাসে খেললে কতটুকু লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে, কিভাবে খেলতে হবে সেই অভিজ্ঞতাটা আমরা থাইল্যান্ডে পেয়েছি। ওরা যেখানে অনুশীলন করে সেখানে বাতাস, বৃষ্টি সব আবহাওয়াতে তারা অভ্যস্ত। যেটা আমাদের এখানে সম্ভব হয় না।`
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :