চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রতিটি ম্যাচের পরেই ভারতীয় দলের এক জন ক্রিকেটারের গলায় পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেরা ফিল্ডারের পদক। রবিবার নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ভাল ফিল্ডিং করে সেই পদক জিতেছিলেন বিরাট কোহলি। তবে তিনি গলায় পরার আগেই কিছু ক্ষণের জন্য হারিয়ে গিয়েছিল সেই পদক। তা লুকিয়ে রেখেছিলেন সতীর্থই। খুঁজেও দিলেন তিনি।
ম্যাচের পর সাজঘরে দলের প্রশংসা করছিলেন ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ। তিনি বলেন, “আমরা সব সময় এমন ফিল্ডিংয়ের কথা বলি যা বন্দুকের মতো দ্রুত গতির। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল খেলোয়াড়েরা কতটা সক্রিয়। যে ভাবে (ড্যারিল) মিচেল ক্রিজ়ে আসার পর আমরা ওর কাছে মাঠটাকে ছোট করে এনে খুচরো রান নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম তা প্রশংসনীয়। আউটফিল্ড থেকে বুলেটের মতো সব থ্রো এসেছে।”
এর পর পুরস্কারের তিন দাবিদারের নাম করেন দিলীপ। বলেন, “সুপারম্যানের মতো আজ ক্যাচ নিয়েছে, তাই প্রথম দাবিদার অক্ষর পটেল। মাঠে গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে দাঁড়িয়ে বরাবরের মতো যে ভাল ফিল্ডিং করেছে এবং ক্যাচ নিয়েছে, সেই বিরাট কোহলি। যে ডাইভ দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে বল বাঁচানোর, সে শ্রেয়স আয়ার।”
এর পর কোহলিকে বিজয়ী ঘোষণা করে থ্রোডাউন বিশেষজ্ঞ নুয়ান সেনাবীরত্নেকে দিলীপ অনুরোধ করেন পদক পরিয়ে দেওয়ার জন্য। তখনই দেখা যায় পদক উধাও। কেউ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কোহলি বলতে থাকেন, “আরে ভাই, পদক কোথায়?” মিটিমিটি হাসতে হাসতে অক্ষর বলেন, “আরে পদকই তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
পরে দেখা যায়, তিনিই সেটা আসনের পিছনে লুকিয়ে রেখেছিলেন। পদক পাওয়ার পর সেনাবীরত্নে সেটি কোহলির গলায় পরিয়ে দেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :