প্রথম আসরের শিরোপা জয়ের পর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে চারবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার সেমিফাইনাল বাঁধা টপকাতে মরিয়া প্রোটিয়ারা। ২৭ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে আগামীকাল চলতি আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রেকর্ড চারবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা। ২০০০, ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৩ সালে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল প্রোটিয়ারা।
১৯৯৮ সালে প্রথম আসরে সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিতে বৃষ্টি আইনে শ্রীলংকাকে ৯২ রানে হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা। ঐ আসরে ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।এরপর কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০০০ সালের দ্বিতীয় আসরেরও সেমিফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ৯৫ রানে হেরে যায় প্রোটিয়ারা।২০০২ সালেও ভারতের কাছে সেমিফাইনালে হার মানে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলংকার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত ঐ সেমিতে ১০ রানের হেরে যায় প্রোটিয়ারা।
টানা দু’বার ভারতের কাছে সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ে দুঃস্মৃতি নিয়ে ২০০৬ সালে আবারও সেমিতে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রতিপক্ষ হওয়ায় অনেকটা স্বস্তি ছিল প্রোটিয়া শিবিরে। কিন্তু জয়পুরের ঐ ম্যাচে ক্রিস গেইলের ১৩৩ রানের অসাধারণ ইনিংসে ক্যারিবীয়দের কাছে ৬ উইকেটে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার।
২০১৩ সালে নিজেদের পঞ্চম সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। লন্ডনে অনুষ্ঠিত ঐ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হারে প্রোটিয়ারা।
অন্যদিকে, তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলে মাত্র একবার শেষ চার থেকে বিদায় নেয় নিউজিল্যান্ড। ২০০৬ সালের সেই দুঃস্মৃতি দ্বিতীবার ফিরিয়ে আনতে চায় না কিউইরা।ঐ সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৪ রানে হারে নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৪০ রান করেছিল অসিরা। জবাবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ২০৬ রানে শেষ হয় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
২০০০ সালে প্রথম সেমিফাইনালে উঠে শিরোপা জিতে মাঠে ছাড়ে নিউজিল্যান্ড। ঐ আসরের সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল তারা। এরপর ফাইনালে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ট্রফি জিতে কিউইরা।
২০০৯ সালে তৃতীয়বার সেমিফাইনাল খেলে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় তারা। তবে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬ উইকেটে হেরে রানার্স-আপ হয় কিউইরা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :