ভারতীয় ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার শেষ দুই মাসে ওয়ানডে ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। যদিও এমনটা যে হবে সেটা হয়তো কেউ আশা করেননি। সবটাই অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল। এর কারণ হল শ্রেয়সের ভূমিকা নিয়ে সকলেরই সন্দেহ ছিল। তবে ৩০ বছর বয়সি এই তারকা দুর্দান্তভাবে ছন্দে ফিরে আসেন ও নিজেকে প্রমাণ করেন। তিনি ভারতের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। দুবাইয়ের মাটিতে পারফরম্যান্স করে নিজের সমালোচকদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা পাঠিয়েছেন পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার।
শ্রেয়স আইয়ারের শর্ট বলের বিরুদ্ধে দুর্বলতা সকলেরই জানা এবং প্রতিপক্ষরা বরাবরই এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও নিউজিল্যান্ড এটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল, তবে এই চ্যালেঞ্জের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত ছিলেন আইয়ার। তিনি ৭৯ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে প্রতিপক্ষকে জবাব দিয়েছিলেন।
এই সময়ে তিনি তিন অঙ্কের স্কোর মিস করা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিন অঙ্কের স্কোর মিস করায় যে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই সেটাই জানিয়েছেন আইয়ার। তিনি বলেন, তার ইনিংস দলকে জয়ের পথে নিয়েগিয়েছে, সেটাই তাঁর কাছে সবকিছু।
শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘খুব, খুবই তৃপ্তিদায়ক। হয়তো আমি সেঞ্চুরি করতে পারতাম, কিন্তু কোনও আক্ষেপ নেই। বরং এটা আরও মধুর হয়েছে কারণ আমি দলকে ভালো স্কোরের দিকে নিয়ে যেতে পেরেছি এবং আমরা ৪৪ রানে জিততে পেরেছি।’
শ্রেয়স আইয়ারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নাগপুরে খেলা ওয়ানডে সিরিজে জোফ্রা আর্চারের শর্ট বলের বিরুদ্ধে মারা দুটি ছয় তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে কিনা। জবাবে তিনি জানান, ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিনি এমন অনেক শট খেলেছেন।
শ্রেয়স আইয়ার জানান, ‘আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে, হ্যাঁ। তবে যদি আপনি আমার ঘরোয়া মৌসুমের দিকে তাকান, আমি অনেক ম্যাচ খেলেছি এবং কঠিন বলগুলোর বিরুদ্ধে ছয় মেরেছি। সেখান থেকেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। টেকনিক্যালি, আমি আমার স্ট্যান্স চওড়া করেছি এবং শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছি, যা আমাকে শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করেছে। আমি সেটাই ইংল্যান্ড সিরিজে এবং পরবর্তী ম্যাচগুলোতে প্রয়োগ করেছি।’
তাহলে কি এটি তার সমালোচকদের জন্য যথেষ্ট উত্তর? আইয়ার মনে করেন, তিনি আলাদাভাবে কারও উদ্দেশ্যে কিছু বলার প্রয়োজন অনুভব করেন না, কারণ তার ব্যাটই উত্তর দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমাকে কাউকে কিছু বলে প্রমাণ করার দরকার নেই। আমি শুধু নিজের ওপর বিশ্বাস রাখব এবং সেরা ক্রিকেট খেলব। বার্তা এমনিতেই পৌঁছে যাবে।’
এর আগেও আইয়ার ব্যাখ্যা করেছিলেন কীভাবে তিনি শর্ট বল সামলানোর জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের স্ট্যান্স পরিবর্তন করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, এর পিছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম।
তিনি বলেন, ‘একজন ক্রীড়াবিদ এবং ব্যক্তি হিসেবে কঠিন সময়ই তোমার আসল পরীক্ষা নেয়। এই প্রক্রিয়ায় অনেকেই আমাকে সাহায্য করেছেন—অমরে স্যার, অভিষেক নায়ার, আমার ট্রেনার সাগর এবং আমার পুষ্টিবিদ নিকোল কেদিয়া।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :