টানা তৃতীয়বার উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের খেতাব হাতছাড়া হলে হতাশা গ্রাস করাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে নিজে ভালো খেলেও দলকে ট্রফি এনে দিতে না পারলে মন খারাপ হবে নিশ্চিত। তবে সেই হতাশা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের মাঠে নেমে পড়তে হয় শেফালি বর্মাকে। এবার রাজ্য দলের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঠে নেমেই চমক দিলেন জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়া তারকা। যদিও দিল্লি ক্যাপিটালস তথা ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের বিধ্বংসী ওপেনার এক্ষেত্রে ব্যাট হাতে নয়, বরং চমক দেন বল হাতে।
সোমবার হরিয়ানার হয়ে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-২৩ ওয়ান ডে ট্রফির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামেন শেফালি বর্মা। দলের নেতৃত্বের দায়ভার পড়ে তাঁর কাঁধেই। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে পরপর ৩ বলে ৩ উইকেট দখল করেন শেফালি এবং ব্যক্তিগত হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ম্যাচে শেফালির দল হেলায় হারিয়ে দেয় কর্ণাটককে এবং টুর্নামেন্টের শেষ আটের টিকিট পকেটে পোরে।
গুয়াহাটির এসিএ ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে টস জেতেন হরিয়ানার ক্যাপ্টেন শেফালি। তিনি শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান নিকি প্রসাদের নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক দলকে। কর্ণাটক ৪৯.৩ ওভারে ২১৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন মিথিলা বিনোদ। তিনি ৮৭ বলে ৯০ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। এমন মারকাটারি ইনিংসে মিথিলা ১৬টি চার মারেন। এছাড়া সালোনি ৩০, প্রেরণা ২৬, লাবণ্য ২১, রশনি ১৭ ও নিকি প্রসাদ ১৬ রান করেন।
হরিয়ানার হয়ে মাত্র ৪ ওভার বল করে ২০ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন শেফালি বর্মা। তিনি ৪৪তম ওভারের শেষ ২টি বলে (৪৩.৫ ও ৪৩.৬ ওভারে) পরপর আউট করেন সালোনি ও সৌম্য বর্মাকে। ৪৬তম ওভারে পুনরায় বল করতে এসে প্রথম বলেই (৪৫.১ ওভারে) শেফালি আউট করেন নমিতা ডি`সুজাকে। সেই সুবাদে ব্যক্তিগত হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন শেফালি। এছাড়া আমনদীপ কৌর ২টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে হরিয়ানা ৪২ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২১৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৪৮ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ১০টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭৭ বলে ৭৭ রান করেন তানিশা। ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৯ বলে ৬৬ রান করেন সনিয়া। ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ বলে ১৮ রান করে আউট হন শেফালি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :