ব্যাট হাতে হেসেখেলে ম্যাচ জিতলেও বিশ্বকাপের টিকিট পেল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দল। শেষ পর্যন্ত মাত্র ০.০১ নেট রানরেটের ব্যবধানে বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ নারী দল।
থাইল্যান্ডের দেওয়া ১৬৭ রানের টার্গেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ করে ১০.৫ ওভারে। কিন্তু ততক্ষণে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গেছে এক বল আর এক রানরেটের হিসেব-নিকেশে।
শেষ ওভারের ৫ম বলে চার, এবং ৬ষ্ঠ বলে ছক্কা হাঁকালেই বিশ্বকাপে পৌঁছাতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ৬ষ্ঠ বলে স্টেফানি টেইলরের সরাসরি ছক্কা ম্যাচ জয়ের আনন্দ দিলেও বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি তারা।
ম্যাচ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট রানরেট দাঁড়ায় ০.৬৩, আর বাংলাদেশের ০.৬৪—এই সূক্ষ্ম ব্যবধানই টাইগ্রেসদের তুলে দেয় নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নারী বিশ্বকাপের মূলপর্বে।

বাংলাদেশ হেরেও জিতলো!
দিনের শুরুতে নিজেদের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। সেই হার সত্ত্বেও শেষ আশা টিকে ছিল থাইল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের উপর। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারলে বা নির্দিষ্ট রানরেট না পেলে সুযোগ ছিল বাংলাদেশের।
থাই ব্যাটার নাত্তাখাম চাংথামের দুর্দান্ত ফিফটিতে থাইল্যান্ড তোলে ১৬৬ রান। এক পর্যায়ে ৭ উইকেটে ৮৫ তে থাকা দলটির এমন সংগ্রহ সম্ভব হয় চাংথামের ৬৬ রানের ইনিংসে ভর করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপে যেতে হলে এই ১৬৭ রান তাড়াতে হতো ১০.১ ওভারেই। ১১ ওভার পর্যন্ত যেতে হলে স্কোর করতে হতো ১৭২। সমীকরণ ছিল, শেষ ওভারে চারে ১৬৬ বা ছক্কায় ১৭২—তবেই মূলপর্ব।
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার হেইলি ম্যাথিউস ২৮ বলে ৭০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ৭ম ওভারে তিনি আউট হলে আশার আলো দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ।
তিনে নামা শ্যানেল হেনরিও দারুণ খেলছিলেন—১৭ বলে ৪৮। তবে ১০.২ ওভারে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়লে আবার জমে ওঠে সমীকরণ।
শেষ ওভারের নাটকীয়তায় চার-সিঙ্গেলসের পর ছক্কা মারলেও কাজ হয়নি। ম্যাচ জিতলেও রানরেটে পিছিয়ে থেকে বিশ্বকাপে জায়গা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
টাইগার মেয়েদের জন্য এক ঐতিহাসিক ক্ষণ
শেষ মুহূর্তের এমন রুদ্ধশ্বাস নাটকে বাংলাদেশের উঠে যাওয়া কেবল একটি খেলার জয় নয়, এটি এক অধ্যবসায় ও ভাগ্য সহায়তার সম্মিলিত ফলাফল। বাংলাদেশের নারীদের জন্য এটি আরেকটি বড় মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করার সুবর্ণ সুযোগ।
একুশে সংবাদ//ঢ.প//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :