চোখ জুড়ানো সাদা বালি আর স্বচ্ছ জল এবং প্রাণবন্ত সামুদ্রিক জীবন, যা বিশ্বব্যাপী মালদ্বীপ ভ্রমণকারীদের জন্য একটি সেরা গন্তব্যের স্থান। এই ড্রিম ডেস্টিনেশনে প্রতিদিনই হাজারো পর্যটক বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে ঘুরতে আসেন। এদের অনেকেই কম খরচের বিভিন্ন ধরনের ভ্রমণ প্যাকেজ খুজেন।কারন স্বল্প খরচে ভ্রমনের চিন্তা সকলের মনেই থাকে। এই স্বল্পব্যয়ী ভ্রমনপিপাসুদের জন্য এবার ৫২ হাজার টাকায় মালদ্বীপের ভ্রমণ প্যাকেজ অপার করেছেন বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা।
ভারত মহাসাগরের বুকে ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ হলেও, বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই ভ্রমণ করা যায় দেশটিতে।যা বাংলাদেশি ভ্রমণপিয়াসীদের সংক্ষিপ্ত কোনো ভ্রমণের আদর্শ একটি গন্তব্য স্থান।ঢাকা-মালে প্রতিদিনই সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছেন দুটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স যা আপনাকে আরও সহজ এবং কম খরচে পৌছিয়ে দিবে নীল জলরাশীর দেশটিতে।
অনেকে অনেক বেশি সমুদ্র ভ্রমন পছন্দ করেন।সেক্ষেত্রে ভ্রমণের তালিকায় যদি সমুদ্রস্বর্গ হয়, কার না মন চাইবে একটু ঘুরে আসতে।তবে মালদ্বীপের ভ্রমণ প্যাকেজ সম্পর্কে এখনো অনেকেরই রয়েছে অজানা।আবার অনেকে হয়তো ভাবছেন মালদ্বীপ ভ্রমণের খরচটা একটু বেশী, মোটেই না!
নীল জলরাশী আর সমুদ্র প্রেমী অ্যাডভেঞ্চার সন্ধানীদের জন্য ৫২ হাজার ৪৯৯ টাকায় ২রাত ৩দিনের ভ্রমণ প্যাকেজ অপার করেছেন বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন এয়ারলাইন্সটির মালদ্বীপের কান্ট্রি ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম।
এই ভ্রমণ প্যাকেজটিতে রয়েছে ঢাকা-মালে-ঢাকা রিটার্ন এয়ার টিকিট, ২ রাত হোটেলে থাকা, বুফে ব্রেকফাস্ট, মালে এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে অত্যাধুনিক স্পিডবোটে পিক-ড্রপ সহ ফ্রি ওয়াই-ফাই সুবিধা।প্যাকেজগুলো টুইন শেয়ার ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।টুইন শেয়ারিং ছাড়াও শিশুদের জন্যও রয়েছে নানাবিধ প্যাকেজ।
এ ভ্রমণ প্যাকেজ এর বাহিরেও যদি আপনি যাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার ন্যূনতম খরচ হবে ৮০-৮৫ হাজার টাকার মত।ইউএস-বাংলা এবং মালদ্বীভিয়ান এয়ারলাইন্স ছাড়াও বিশ্বের যেকোনো এয়ারলাইন্সে করে মালদ্বীপ ভ্রমণ করতে পারবেন আপনি।
যেহেতু পর্যটকদের জন্য মালদ্বীপের ভিসা অন এরাইভাল।সেক্ষেত্রে মালদ্বীপ এয়ারপোর্টে অন-এরাইভাল ভিসা পেতে আপনাকে নিম্নলিখিত নথিগুলি উপস্থাপন করতে হবে, আপনার পাসপোর্টে অবশ্যই ছয়মাসের মেয়াদ থাকতে হবে, ঢাকা-মালে-ঢাকার ফিরতি বিমান টিকিট অবশ্যই থাকা লাগবে, মালদ্বীপে যে কয়দিন থাকবেন সব কটি দিনের জন্য অবশ্যই হোটেল বুকিং কনফার্মেশন থাকা লাগবে, যদি আপনি ৩দিনের জায়গায় একদিনের জন্য হোটেল বুকিং করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে জবাবদিহি করতে হতে পারে,পর্যাপ্ত পরিমাণ মার্কিন ডলার আপনার সাথে থাকা লাগবে।
এছাড়াও বাংলাদেশে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য আপনার চাকরি বা ব্যবসার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ট্রেডলাইসেন্স, ট্যাক্স রিটার্ন ইত্যাদি সাথে রাখলে ভালো হয়।যদি আপনি আপনার সকল কাগজপত্র ঠিক রাখেন মালদ্বীপ এয়ারপোর্টে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ১ মাসের ভিসা পেয়ে যাবেন।এই ভিসা ৩০দিনের জন্য বৈধ এবং ২৫ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত খরচ করলে আরো ৩০দিনের জন্য ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
তবে যদি উল্লেখিত এই বিষয় গুলো মাথায় না রাখেন ও কাগজপত্রগুলো ঠিক না রাখেন, তাহলে মালদ্বীপ এয়ারপোর্ট থেকে ফেরতও যাওয়া লাগতে পারে আপনাকে।তাই খুব যত্ন সহকারে সবগুলি ডকুমেন্টস সাথে রাখবেন এবং ভ্রমণের আগে এ বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেন।
এই সীমিত খরচের মাধ্যমে অপূর্ব সুন্দর মালদ্বীপে আপনিও সমুদ্রের নীলাভ জলরাশীর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।আর এই ভ্রমণে এমন কিছু স্মৃতি তৈরি করে রাখবেন, যা আপনার সারাজীবনে অনুভূতি হয়ে থাকবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :