ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী মাত্রাতিরিক্ত মাদক গ্রহণে জ্ঞান হারিয়েছে। ওই শিক্ষার্থী হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান কোরাইশি। সোমবার (২৩ মে) রাত ১১টার দিকে মাত্রাতিরিক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করায় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
সোমবার রাতে হঠাৎ করে আশিক অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার বন্ধুরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার উন্নতি না দেখে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন। তারপর তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে স্থানান্তরিত করা হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়াহিদুর রহমান মিল্টন বলেন, “ওই ছেলেটি অতি মাত্রায় মাদক সেবনের ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আমরা তাকে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দিয়েছি। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়।”
জানা যায়, সোমবার রাতে বন্ধুরা মিলে ক্যাম্পাসে হাটাহাটি করছিল। এক পর্যায়ে তারা সাদ্দাম হোসেন হলের সামনের ক্রিকেট মাঠে ডেস্কপটেন প্লাস (সিরাপ) আর ডিসোপ্যান (ট্যাবলেট) নামের এই দুটি মেডিসিন একত্রে মিক্স করে সেবন করেন। অতিমাত্রায় সেবন করার ফলে আশিক কোরাইশি অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
এসময় তার সাথে ছিলেন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাইমুন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ওমর ফারুক হৃদয়, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ইমরান ও চঞ্চল এবং ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের অঙ্গন। তারা সকলেই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বিষয়টি অস্বীকার করে আশিকুর রহমান কোরেশি বলেন, “ঘুম-খাওয়া ঠিকমতো না হওয়ার কারণে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলাম। পরে কুষ্টিয়ায় ডাক্তার দেখে ঘুমের ঔষধ দিয়েছিল।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ছেলেটিকে আমরা ডাকবো।
একুশে সংবাদ/আ.হো/এস.আই
আপনার মতামত লিখুন :