বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) এ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারো ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বরিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) রাত ১০ টার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে রিদম-আবিদ তাদের গ্রুপের কিছু কর্মীদের সাথে নিয়ে রাফি-নাভিদ গ্রুপের উপর হামলা চালায়। তার প্রেক্ষিতে রাফি-নাভিদসহ তাদের গ্রুপের কর্মীরা তাদের উপর পাল্টা হামলা চালায়। এভাবে দুই গ্রুপের ভিতর চার দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উক্ত সংঘর্ষ চলাকালে ৪-৫ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীরা হল গণিত বিভাগের মাষ্টার্সের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত,গ ২০১৮-১৯ সেশনের বাংলা বিভাগের তাহমিদ জামান নাভিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের রুমান হোসেন সহ ২০১৭-১৮ সেশনের মাহমুদুল হাসান তমাল এবং ২০১৫-১৬ সেশনের গণিত বিভাগের আবিদ হোসেন। আহত সকলেই মেয়রের অনুসারী।
ঘটনায় আহত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ জামান নাভিদ বলেন, দুইদিন আগে রুপাতলী আমার এক বন্ধুকে নিয়ে ঝামালে বাধে ৷ সেই ঘটনা আমরা সমাধান করে আসি ৷ পরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল স্থানীয়রা ক্যাম্পাসে আসে ৷ আলোচনার এক পর্যায়ে আবিদ,আল সামাদ শান্ত, মাহমুদুল হাসান তমাল এদের ইন্ধনে বহিরাগতরা আমার উপরে হামলা চালায় এবং আমাকে আহত করে ৷ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি ৷
এ বিষয়ে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মারামারি হয়েছে মূলত ভুলবোঝাবুঝির কারণে, সম্পূর্ণ স্থানীয়রা করেছে ৷ আমরা এর সঙ্গে যুক্ত না ৷ ঝগড়া বা মারামারি যেন না বাধে সেজন্য আমারা চেষ্টা চালিয়েছি ৷
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম জানান,গতকাল রাতে সিনিয়র জুনিয়র একটা হাতাহাতির ঘটনা শুনেছি ৷ ঘটনার জানার তরপরই আমি ক্যাম্পাসে এসে দুই গ্রুপের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি ৷ এখন ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে ৷
উল্লেখ্য, রুপাতলি কোচিং সেন্টার ভাড়াকে কেন্দ্র করে রিদম-আবিদ ও রাফি নাভিদ গ্রুপ ক্যাম্পাসে এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।উক্ত সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে এখনো মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে দুই গ্রুপ। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সর্তক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :