AB Bank
ঢাকা বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জবিতে অপরিষ্কার শৌচাগার, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা


Ekushey Sangbad
রুদ্র দেব নাথ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
০৮:৫৪ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
জবিতে অপরিষ্কার শৌচাগার, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের শৌচাগারগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে সেগুলোতে শ্যাওলা জমে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অধিকাংশ শৌচাগারে সাবান ও টিস্যুর ব্যবস্থা নেই। এমনকি টিস্যু ফেলার পর্যাপ্ত ঝুড়িও রাখা হয়নি। কিছু কিছু শৌচাগারে দরজা বন্ধ করার খিল পর্যন্ত নেই। সেখানে কলম দিয়ে গোপনীয়তা রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

এর মধ্যে ক্যান্টিনের পিছনে গণশৌচাগারের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন গুলো বিকাল ৩:৩০ মিনিটের পর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর লাইব্রেরীতে পড়তে আসা শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা দশনার্থী এবং শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে ক্যান্টিনের পিছনে গণশৌচালয় ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করায় শৌচালয় গুলোতে শ্যাওলার আস্তরণ জমে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

ব্যবহারের অযোগ্য শৌচাগারের তালিকায় এর পরেই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়াম সংলগ্ন শৌচাগারটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আসা বিভিন্ন অতিথি এবং দর্শনার্থীদের এ শৌচাগারটি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই শৌচাগারে কোন সেনিটাইজেশন ব্যবস্থা নেই। টিস্যু এবং টিস্যু ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোন ঝুড়ি নেই। যার কারণে শৌচাগারের বেসিনগুলো পানি ভর্তি ও নোংরা অবস্থায় দেখা যায়।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ভবন ও অনুষদ গুলো ঘুরে দেখা যায় সেখানে শিক্ষার্থী অনুপাতে পর্যাপ্ত শৌচালয়ের ব্যবস্থা নেই। এর মধ্যে রফিক ভবন উল্লেখযোগ্য। রফিক ভবনে অধ্যায়নরত চারুকলা, বাংলা এবং ইতিহাস বিভাগের প্রায় এক হাজার পুরুষ ও নারী শিক্ষার্থীর জন্য ভবনের চতুর্থ তলায় মাত্র ৮ টি শৌচালয় রয়েছে। 

 

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীরা রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। নারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ পরিছন্নতার প্রয়োজন থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শৌচাগারে তাদের জন্য সাবান টিস্যু এবং স্যানেটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা নেই।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: ইমদাদুল হক বলেন, "ওয়াশরুম গুলো আগামীকাল এর মধ্যে পরিষ্কার করে দেওয়া হবে, শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে, তাই নিয়মিত পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

 

আমাদের ওয়াশরুম গুলো ওপেন ওয়াশরুম, তাই ওপেন ওয়াশরুমে ন্যাপকিন দেওয়া সম্ভব নাকি? তবে মেয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা চেষ্টা করবো।"

 

এ বিষয়ে জানতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

 

একুশে সংবাদ.কম/রু.দে.প্র/জাহাঙ্গীর

Link copied!